ভয়াবহ বৈশিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। বিভন্ন অজুহাতে কেউ বাইরে বের হলে তাঁকে প্রশাসনের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
লকডাউনের তৃতীয় দিনে বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ফাঁকা ও যানবাহন শূন্য দেখা গেছে। সারাদেশে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন কঠোর ভাবে বাস্তবায়নে বিরামপুর উপজেলায় মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী।
তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যানবাহনগুলোর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স, ঔষুধ ও খাবারের গাড়িগুলোকে চলতে দেখে গেছে। অল্প সংখ্যক ব্যাটারী চালিত চার্জার ভ্যান, অটোরিক্সা ও পণ্য পরিবহনকারী ট্রাককে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়াও
বিভন্ন অজুহাতে যারা বাইরে বের হয়েছেন কিংবা মোটর সাইকেল, ব্যাটারী চালিত চার্জার ভ্যান ও অটোরিক্সা নিয়ে বাইরে বের হয়েছেন তাঁদেরকে প্রশাসনের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুনতে হচ্ছে নগদ অর্থ জরিমানা।
এছাড়া কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বিরামপুর পৌর শহরে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ,বিজিবি ও আনসার বাহিনী সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে বলে জানান, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সুমন কুমার মহন্ত। তিনি জানান, বিরামপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছেন। ভারী বৃষ্টির মাঝেও পুলিশের টহলে অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট পরিচালনা করছেন পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনীর।
বন্ধ আছে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও বিপনী বিতান। তবে কাঁচাবাজার গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচা-কেনা করার থাকলে তা মানা হচ্ছে না।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার জানান, সারা দেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পযন্ত সাত দিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছেন। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিরামপুর উপজেলায় এই লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। এছাড়াও জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিরামপুর উপজেলায় সকল সরকারি- বেসরকারী, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস বন্ধ আছে।
বিধি-নিষেধ চলাকালীন বিরামপুর উপজেলায় অভ্যন্তরীণ সকল রুটে সকল প্রকার গণপরিবহনসহ সিএনজি, ভ্যান, মোটর সাইকেল, থ্রি-হুইলার বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। তবে সঙ্কটময় পরিস্থিতি জারিকৃত বিধি-নিষেধ অমান্য করে বিভন্ন অজুহাতে কেউ বাইরে বের হলে তাঁকে প্রশাসনের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুনতে হচ্ছে নগদ অর্থ জরিমানা।