ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
বালুচর আল্ ইসলাহ্ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা।
রুবেল আহমদ সিলেট

দিনদিন সিলেট সদর উপজেলা পাঁচ নং টুলটিকর ইউনিয়ন বালুচর আল্ ইসলাহ্ এলাকা ও তার আশপাশের এলাকায় চুরি সংঘটিত হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে থানা প্রশাসন।

ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পরিদর্শন পূর্বক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বালুচর আল্ ইসলাহ্ এলাকায় আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেনের বাসায়

গতকাল রাত সাড়ে আট ঘটিকায় সিলেট এসএমপি শাহপরান রহঃ থানার ইনচার্জ অসি আনিসুর রহমান এর সাথে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আলোচনা করেন। ঐসময়ে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে

ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় সিলেট এসএমপি শাহপরান রহঃ থানার ইনচার্জ অসি আনিসুর রহমান কে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেনবিট পুলিশ অফিসার এস,আই পলাশ কানু। এ,এস,আই মুহিবুর রহমান। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। হাজ্বী তোফাজ্জল হোসেন। মাহবুব আলম ফয়সল। প্রকৌশলী মোঃ নাসের আহমদ। ক্লীন সিলেট এর সভাপতি সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবর। মোঃ সিরাজ মিয়া।মোঃ মাছুমুর রহমান। বাংলাদেশ নির্মান শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন। মোঃ নুনু মিয়া।মোঃ কামাল মিয়া। মোঃ রিয়াজ মিয়া।আব্দুস সালাম।মোঃ কুদ্দুস মিয়া।মোঃ নাদিম আহমেদ। কাজল বাবু।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট এসএমপি শাহপরান থানা ইনচার্জ অসি আনিসুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন

সিলেটে দিন দিন বেড়েই চলছে কিশোর অপরাধ। বেপরোয়া কিশোর অপরাধীরা গড়ে তুলেছে এলাকাভিত্তিক গ্রুপ। আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ে এসব গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই ঘটছে সংঘাত, সংঘর্ষ ও হানাহানি। নিজেদের মধ্যে মারামারি ছাড়াও চুরি, ছিনতাই, এমনকি খুনোখুনিতেও জড়িয়ে পড়ছে কিশোর অপরাধীরা। সিলেট নগরে কিশোর অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত অভিভাবকরা।

এই অবস্থায় কিশোর অপরাধ দমনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এতোদিন অভিভাবকদের সতর্ক ও অপরাধের সাথে যুক্ত কিশোরদের কাউন্সিলিং করা হয়েছিল। কিন্তু এতেও যারা সংশোধন হয়নি তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযানে নামতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এসময়ে তিনি আরো বলেন শিশু কিশোরেরা না বুঝে বা বন্ধু-বান্ধবদের পাল্লায় পড়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। আমরা চাই না এদেরকে জেলে পাঠিয়ে ক্রিমিনাল বানাতে। সে জন্য তালিকা করে তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তার সন্তানের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে সতর্ক করা হচ্ছে। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কিশোরদেরও কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সঠিক পথে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই মানবিক উদ্যোগের পরও যারা অপরাধ জগতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছে না, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ কোন ছাড় দেবে না।

এবং তিনি স্থানীয় প্রতিনিধি ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন

অপরাধী যেই হোক তাকে দড়িয়ে দেওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x