বরিশালের বানারীপাড়ায় প্রথমবারের মতো বাগান গড়ে তোলা হয়েছে জাপানি আম মিয়াজাকি বা সূর্য ডিম , মিয়াজাকি- বা রেড ম্যাংগো অথবা সূর্য ডিম আমরা যেনামেই চিনিনা কেনো, পৃথিবীর অন্য সব আমের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি সুস্বাদু ও মিষ্টি এই আম। শুধু সুস্বাদু নয়, দামিও বটে। বিশ্ববাজারে একটি মিয়াজাকির দাম প্রায় ৭০ ডলার বা ছয় হাজার টাকা।মধুমাসে আমের এবারে ব্যাপক ফলন হলেও, আবহাওয়া এখনো পর্যন্ত অনুকূলে থাকার ফলে আমের গুণগত মান ভালো রয়েছে বলে জানান এখানকার চাষীরা।
বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুরের কৃষক শামীম হাওলাদার মাসুম জানান চলতি মৌসুমে তার প্রায় ১২০ শতক জমিতে আম ও মালটা চাষ হয়েছে।আমের ফলনও এ পর্যন্ত ভালো আছে বলে জানিয়েছেন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে নিজেদের চাহিদা মেটিয়ে বাজারেও রপ্তানি করতে পারবেন বলে জানান কৃষক শামীম। এলাকার সলিয়াবাক পুরে বিস্তির্ন বাগানে শোভা পাচ্ছে নানান জাতের আম। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় অনাবৃষ্টির কারণে অনেকটাই বিপাকে ছিলেন আম চাষীরা। সম্প্রতি সময়ে কয়েক দফায় বৃষ্টি হবার ফলে অনেকটা স্বস্তি বোধ করছেন বাগান মালিকরা। সবচেয়ে ভালো মানের আম হয়েছে উপজেলার কিছু কিছু বাগানে সম্প্রতিকালে আমের গুণগত মান ভালো রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দিলে চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় আমের বাম্পার ফলন হলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন আমচাষীরা। বাগানগুলোতে সূর্যডিম, গুটি আম, হিমসাগর, ল্যাংড়া,থাই কাচা মিঠা, বারো মাসি আমেরিকান কাটিমোন আম, ফজলী, আম্রপালী,বেনানা ম্যাংগো আম, এছাড়াও ড্রাগন ও লেবু, চাষ করছেন।এসময়ে তিনি বলেন এ বছর বড় আকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি তাই ফলনও মোটামুটি ভালো হইছে। এদিকে কৃষক শামীম হাওলাদার মাসুম বলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা তেমন সহযোগিতা করে নাই।তিনি মনে করেন বানারীপাড়া কৃষি কর্মকর্তাদের একটু সহযোগিতা পেলে তার লক্ষমাত্রা পূরণে সক্ষম হবেন।
Nahid Sarder