ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
মোংলায় হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমন, শনাক্তের হার ৬০ ভাগ
এস এম রাজ,.বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোংলায় কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রামন। বুধবার মোংলায় ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫১ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী শতকরা সনাক্তের হার ৬০ ভাগ। এর আগে ২৯ মে ৪২ জনের মধ্যে ৩৭ জন ও ২৫ মে ২২ জনের মধ্যে ১৯ জনের  নমুনা পরীক্ষা করোনা সনাক্ত হয়। বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোংলায় ৮ দিনের কঠোর করোনা বিধি নিষেধ চতুর্থ দিন বুধবারও পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকেরা মোংলা শহরে প্রবেশ মুখে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও লোকজন চলাচল বন্ধ করতে পারছেনা। কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও শহরে লোকজন ও যানবাহনের চলাচল প্রথম দুইদিনের তুলনায় বেড়েই চলেছে। কোথাও কোথাও দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে। অধিকাংশ লোকজন চলাচল করছে মাস্ক বিহীন অবস্থায়। ঢিলেঢালা ভাবে চলছে প্রশাসনের কঠোর বিধি নিষেধ।

এদিকে মোংলায় সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়াতে থাকায় এবং চলমান কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের জন্য জরুরী সভা করেছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির। বিকেলে মোংলা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে করোনা সংক্রমণ রোধে করণীয় নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ কে,এম হুমায়ুন কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন উভয়ই মোংলায় পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চলমান কঠোর বিধি নিষেধ শতভাগ বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনরত নির্দেশনা দিয়েছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, মোংলায় স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং লোকজন মাস্ক ব্যবহারে অনিহা রয়েছে। যার কারণে আগের তুলনায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে, যেহেতু এখানে মোংলা বন্দর, ইপিজেডসহ শিল্পা ল রয়েছে, এসব বিদেশীদের সমাগম আছে, তারা স্থানীয় হাট-বাজারে ঘুরছে, কেনাকাটা করছে সেকারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, মোংলায় করোনা সংক্রমণের প্রথম কারণ হচ্ছে, এই সমুদ্র বন্দরে বিদেশী জাহাজ আসছে, সেখানে এখানকার লোকজন যাওয়া আসা করছে। দ্বিতীয় হলো মোংলা নদীর খেয়া পারাপারে ভীড়-গাদাগাদি ও তৃতীয়তো হলো ঈদের সময় দেশের বিভিন্নস্থান থেকে এখানে লোকজন এসেছে। এ সব কারণেই এখানে সংক্রমণের হার মুলত বাড়ছে।

 

 

 

x