ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শেষ হওয়ার ৩ দিনেও ত্রান সহায়তা পায়নি বরগুনার ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলো। আজ শনিবার (২৯ মে) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা গুলোতে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার জ্বিনতলা, রুহিতা ও পদ্মা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়
ইয়াস’র প্রভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার বেরীবাধের পাশের বসবাসকারী পরিবার গুলো না খেয়ে আছেন। বেরীবাধ ভেঙ্গে ভাসিয়ে না নিলেও নদীর ডেউয়ের পানি ভিতরে ডুকে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করার কারনে ওই পরিবার গুলোর রান্না করা ও খাওয়া বন্ধ আছে। তাছাড়া প্রশাসন থেকে বরাদ্বের খবর পেলেও তা ৩ দিন পার হয়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কোন খোজ নেইনি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অতিক্রমের ৩ দিন পার হলেও কোন ত্রান সহায়তা পায়নি ওই সকল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। ঐ সকল পরিবার গুলো আহাজারি করছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য। স্থানীয় জাহাঙ্গীর, ইয়াসিন হাওলাদার ও আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান, বন্যার পানিতে পদ্মা এলাকার বেরীবাধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ডুকে গেছে। এখন তারা বাজার থেকে শুকনো খাবার ক্রয় করে নিয়ে খেতে হয়। সরকারী ভাবে অন্য এলাকায় ত্রান সহায়তা দিলেও তাদের খবর কেউ রাখেনি।
এদিকে কৃষি মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে ৮৫ হেক্টর আউশ বীজতলার বপন করা ৩৭০ হেক্টর জমির আউশ বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পাথরঘাটার ২০টি পানের বরজ, ৭ হেক্টর জমির মরিচ, ৮ হেক্টরের পেপে, ১৭ হেক্টর জমির
হলুদ ও ২৩১ হেক্টর জমির অন্যান্য ফসলের তি হয়েছে। জলোচ্ছাসে এই উপজেলার এক হাজার ১৫০ টি ঘেরের মাছ ভেসে গিয়েছে। যার আয়তন, ৫৪ হেক্টর। পুকুর ও ঘের মিলিয়ে ৬০ মেট্রিকটন মাছ জলোচ্ছাসে ভেসে গেছে বলে জানান। যার আনুমানিক মূল্য ১কোটি টাকা।