এস এম রাজ, বাগেরহাট প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নেয় জিনিয়া নামের ৪ বছরের এক মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১০টায় ঘরের মেঝেতে বসে খেলা করা এই শিশুটিকে হটাৎ করে জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে ভাসিয়ে নেয় দিকে ৪ ঘন্টা পর বাড়ীর পাসের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু জিনিয়া জেলার মোরেলগঞ্জে চালিতাবুনিয়া গ্রামের কামাল গাজীর মেয়ে। বুধবার সকালে জলোচ্ছ্বাসে গোটা সুন্দরবন ৪ থেকে ৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানির তোড়ে পূর্ব সুন্দরবনের চান্দেরশ^ ও কোকিলমুনির ২টি বন অফিস, ১টি স্টাফ ব্যারাক, ১টি রেষ্টে হাউজ, ১টি ফুট ট্রেল বিধ্বস্থ ও ১১টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি ৬টি পুকুরের লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বিকাল পর্যন্ত জানাতে না পারলেও দুবলা ও শরণখোলায় ২টি মৃত হরিণ ও মোরেলগঞ্জের একটি খাল থেকে সুন্দরবনের বিলুপ্তপ্রজাতির ১টি মৃত ইরাবতী ডলফিন উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের সব থেকে উচু এলাকা করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রেও পানিতে তলিয়ে গেলেও বন্যপ্রানীগুলো নিরাপদ রয়েছে। জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলা উপজেলায় ২ হাজার ৯১টি চিংড়ি খামারের মাছ ভেসে গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এই ৪টি উপজেলা থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যে জানাগেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার কাচাপাকা সড়ক নদীগর্ভে হয়েছে। এসব উপজেলায় ৩ হাজারের অধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মোংলা উপজেলার চিলা, চাঁদপাই ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় ৮শ পরিববার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার। পানিবন্দিদেন উদ্ধারের পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোংলা বন্দরে দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও সন্ধ্যার পালা থেকে বিদেশী জাহাজে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন।
বিকালে পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদার ও বাগেরহাট- ৪ এমপি আমিরুল আলম মিলন ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষকিগ্রস্থ্য তাদের নির্বাচনী এলাকা এবং বাগেহাটের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বিকালে রামপাল-মোংলা উপজেলার জলোচ্ছ্বাসে ক্ষকিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন করেন।