ঢাকা, রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
রূপগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঈদ আনন্দ মেলা
Reporter Name

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশে চলছে লকডাউন। লকডাউনের মাঝে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারি নির্দেশনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা বালুর মাঠ এলাকায় তারাব পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকারিয়া মোল্লা তার জমিতে ঈদ মেলার আয়োজন করেছেন। ঈদ উপলক্ষে আয়োজন করা মেলাটি গত ১৬ মে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকার বালুর মাঠটি স্থানীয় কাউন্সিলর জাকারিয়ার মোল্লার। তিনি তার জমিতে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে ১৬ মে থেকে ১৫ দিন ব্যাপী মেলার আয়োজন করেন। মেলাতে আসা দর্শনার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই ছিল না। এছাড়া কাউকে মুখে মাস্ক পড়তেও দেখা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে কাউন্সিলর জাকারিয়া ঈদ মেলার মেলার আয়োজন করেন। কাউন্সিলর জাকারিয়া মোল্লাকে মেলার দোকানীদের দৈনিক ৪ হাজার টাকা মেলার জন্য ভাড়া প্রদান করতে হয়। বিকেল হলেই মেলাতে প্রতিদিন হাজার দর্শনার্থীর ভিড় জমায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলার ভেতরের প্রবেশের প্রধান ফটকের সামনে হলুদ রংয়ের কাপড়ে লাল-কালো রংয়ে লেখা মেলা! মেলা! মেলা! ঈদ আনন্দ মেলা। গেটের সামনেই জিলাপী ও মুড়ি-মুরকির দোকান। আর একটু ভেতরে গেলেই দেখা মিলে ছোট শিশুদের ১৪-২০ টি খেলনার দোকান। এছাড়া বসানো হয়েছে শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন প্রকার রাইড। অভিভাবকরা তাদের শিশুদের আনন্দ দিতে নিয়ে আসছে মেলাতে। অভিভাবক ও শিশুদের কারো মাঝে কোন প্রকার সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি। মেলায় আসা বেশিরভাগ মানুষকে মুখে মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন মেলার আয়োজন দুঃখজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর জাকারিয়া মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে আমি ফোনে কোন কথা বলতে রাজী নয়। আপনি আমার অফিসে আসলে এ ব্যাপারে কথা বলবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নূসরাত জাহান বলেন, কাউন্সিলরের উদ্যেগে মেলা বসানোর বিষয়ে আমার জানা নেই। এখনই সড়েজমিনে গিয়ে মেলা বন্ধ করে দিচ্ছি।

x