মহান ২০ মে ঐতিহাসিক “মুল্লুকে চল” আন্দোলনের শতবর্ষ উপলক্ষে “চা শ্রমিক দিবস” হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা, স্ববেতনে বাগান ছুটি ঘোষণা, চা শ্রমিকদের ভূমি, শিক্ষা, চিকিৎসা অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার দাবীতে চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকাল ৯ টায় মালনীছড়া চা বাগানে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ, মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমরেড হৃদেশ মুদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড সুশান্ত সিনহা সুমন, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের নেতা সন্তোষ বাড়াইক, সন্তোষ নায়েক, শেলি দাস, লাংকাট লোহার, মিতা সিং, জীবন বাড়াইক, অঞ্জলী মুদি, হরি সবর প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শতবর্ষ পূর্বে ঐতিহাসিক “মুল্লুকে চল” আন্দোলনের মাধ্যমে চা শ্রমিকরা যে রক্তস্নাত বিদ্রোহ তৈরি করেছিলেন তা চা শ্রমিক আন্দোলনে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। চা শ্রমিক নেতা পন্ডিত গঙ্গাদয়াল দিক্ষীত ও পন্ডিত দেওশরণের নেতৃত্বে সংঘটিত ঐতিহাসিক “মুল্লুকে চল” আন্দোলনের ফলে সেদিন মালিক শ্রেণি শ্রমিকদের অনেক ন্যায্য দাবী মেনে নিতে বাধ্য হলেও সময়ের পরিক্রমায় শ্রমিকদের উপর শোষণ নিপীড়ন আজও বিদ্যমান। তাই বক্তারা ২০শে মে এর চেতনাকে ধারন করে শোষণ মুক্তির লড়াইয়ে চা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
সমাবেশে শুরুর পূর্বে চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলন, জুড়ি ভ্যালির সংগঠক রুকেশ রুদ্র পালের অকাল মৃত্যুতে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি লাক্কাতুড়া, তারাপুর, তেলিহাটি, বড়জান, ধামাই, সোনারুপা, খান চা বাগান সহ অন্যান্য চা বাগানে সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ, কালোব্যাজ ধারণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।