সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজারে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ড্রেন কোন কাজে আসছে না। বাজারের ভেতরের রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানি নিস্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় জন ভোগান্তি চরমে পৌছেছে।
জানাগেছে, রাণীগঞ্জ বাজারের রাস্তা নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। এতে জন ভোগান্তির শেষ নেই। অবশেষে জন ভোগান্তি লাঘবে রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ড্রেন নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন রাণীগঞ্জ ইউপি সদস্য ইসরাক আলী।
১৮ মে মঙ্গলবার সরজমিনে দেখা যায়, রাস্তা থেকে নবনির্মিত ড্রেন প্রায় এক থেকে দেড় ফুট উচু হওয়ায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। যে কারণে রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এসব ময়লা পানি মাড়িয়ে মানুষ চলাচল করছেন। এছাড়া ড্রেনের অপর পাশের বিভিন্ন দোকানপাটে পানি উপচে উঠছে। এতে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। সেই সাথে রাণীগঞ্জ ফেরি পারাপার হওয়ার জন্য আসা যানবাহনগুলো বিভিন্ন স্থানের কাঁদা পানিতে দেবে গিয়ে অনাকাঙ্খিত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এ সময় রাণীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সুহেল মিয়া সহ অনেকে জানান, রাণীগঞ্জ বাজারের ভেতরের রাস্তায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তবে এবার নতুন ড্রেন হওয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবো। কিন্তু তা হয়নি। যা হয়েছে উল্টো। ড্রেন দিয়ে রাস্তার পানি যাওয়ার কথা। এখন ড্রেন থেকে রাস্তায় আসছে পানি। রাস্তা থেকে ড্রেন অনেক উচু হওয়ায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা যেন আমাদের পিছু ছাড়তে চাইছে না। অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন নির্মাণ করায় কোন কাজে আসছে না। হচ্ছে হিতে আরো বিপরীত। অপ্রয়োজনীয় ড্রেন দিয়ে মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়ানো হয়েছে। এতে অযথা সরকারি টাকা গচ্ছা গেল। বাড়ল মানুষের সমস্যা।
এ বিষয়ে রাণীগঞ্জ ইউপি সদস্য ইসরাক আলী বলেন, ড্রেন নির্মাণে কোন ত্রুটি হয়নি। তবে রাস্তা নিচু হওয়ায় বাজারে পানি জমেছে। এদিকে-বারবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।