মোঃ সিরাজুল ইসলাম মাশুক মৌলভীবাজার: রামাদ্বান মাসের পর আসে শাওয়াল মাস। এই মাসের গুরত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে ছয়টি রোজা। রামাদ্বানের ফরয রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। এই রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে যা নবীজির হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাদ্বানের রোজার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখতেন। হযরত আবু আইয়ুব আল আনসারি রাদ্বিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন —
من صام رمضان، ثم أتبعه ستا من شوال كان كصيام الدهر. رواه مسلم.
যে ব্যক্তি রামাদ্বানের রোজা রাখল, অত:পর শাওয়ালে ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন (পূর্ণ) এক বছর রোজা রাখল। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং: ২/৮২২)
হযরত সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রামাদ্বানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা।’ (নাসায়ি শরীফ, হাদিস নং: ২/১৬২)
মহান আল্লাহ তা’য়ালা কোরআনে কারিমে বলেন, ‘যে একটি সৎকাজ করবে, সে তার ১০ গুণ সওয়াব পাবে।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬০)
মাসআলাঃ শাওয়ালের ছয় রোজা ধারাবাহিকভাবে অথবা বিরতি দিয়েও রাখতে পারবে।
মাসআলাঃ কেউ নফল রোজা রেখে যদি ভেঙে ফেলেন, তবে তার কাজা আদায় করা ওয়াজিব।
আল্লাহ আমাদের সকলকে শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা রাখার তাওফিক প্রদান করুন। আমিন