ঢাকা, বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
লাখাইয়ে কৃষকরা কষ্টে অর্জিত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যাস্ত
Reporter Name

আশীষ দাশ গুপ্ত হবিগঞ্জ লাখাই প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের কৃষি ভান্ডার খ্যাত  লাখাই উপজেলার কৃষকের কষ্টে অর্জিত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় কাটাছেন। বিস্তীর্ণ হাওরের থেকে পুরোদমে বোরো ধান কাটে মাঠে তুলছে মাাড়াই করে শুকিয়ে ঘরে তুলতে ইতোমধ্যে হাওরাঞ্চলের প্রায় -৫০ থেকে ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।

বন্যা সতর্কীকরণের সংবাদে কৃষকগণ দ্রুত নিচু এলাকা ও হাওরাঞ্চলের ধান কাটা প্রায় শেষ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণে শ্রমিক আসায় ও ধান কাটার যান্ত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার, রিপার মেশিনসহ কৃষি উপকরণ পাওয়ায় দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিক সংকট নেই বললেই চলে। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও কুষ্টিয়া রংপুর পাবনা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসেছেন হাওরে। শ্রমিকরা যাওয়া কৃষকদের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুচি কান্ত হাজং।

এদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ চলছে দ্রুত এগিয়ে। শুরুতে ধানের মণপ্রতি দর ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা হাইব্রিড ধান ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা থাকায় কৃষকগণ বেশ উজ্জীবিত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ধানের দরের ক্রমাগতভাবে পতনে কৃষককূল হতাশ। বর্তমানে ধানের মণপ্রতি দর ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা হওয়ায় তারা লোকসানে রয়েছেন। লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচেও থাকছে ঘাটতি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ ও বিক্রয়মূল্য সমান। আর এতে তাদের সারা বছরের শ্রম বিফলে যেতে পারে। যারা নিজের জমি নিজে চাষ করেছেন, তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখলেও বিপাকে পড়েছেন বর্গাচাষি ও বিঘাপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকায় পত্তন নেওয়া চাষিরা। তারা সমূহ ক্ষতির সন্মুখীন।

স্থানীয় কৃষক আনজব আলীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি ২৫ শতাংশ কানি প্রতি ৩ হাজার টাকা করে জমি  নিয়ে ১০ কানি জমি চাষ করেছি। বর্তমানে ধানের দর কমে যাওয়ায় লাভ হচ্ছে না। তবে যারা আগাম ধান লাগিয়েছেন, তারা শুরুতে ভালো দর পেয়েছেন।’

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ বছর লাখাইয়ে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ২৮০ হেক্টর। চাষ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটায় শ্রমিকের কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি ১০টি কম্বাইন হার্ভেস্টার ও ১৫টি রিপার পুরোদমে ধান কর্তন করছে।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অমিত ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ বছর লাখাইয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে হাওরাঞ্চলের প্রায় ৭৫ ভাগ ধান কর্তন হয়েছে। আমার জানামতে কৃষকরা প্রথমদিকে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছেন।

4 responses to “লাখাইয়ে কৃষকরা কষ্টে অর্জিত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যাস্ত”

  1. … [Trackback]

    […] Read More here on that Topic: doinikdak.com/news/11241 […]

  2. … [Trackback]

    […] Info to that Topic: doinikdak.com/news/11241 […]

  3. here says:

    … [Trackback]

    […] There you can find 43763 more Information on that Topic: doinikdak.com/news/11241 […]

  4. naza24 says:

    … [Trackback]

    […] Read More on that Topic: doinikdak.com/news/11241 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x