পবিত্র রমজানের শেষ ১০ দিনে ইবাদত-বন্দেগীর জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে মদীনার মসজিদে নববী বা নবী মসজিদ। রমজানের এই দশকে সেখানে অসংখ্য মুসলমান ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকার জন্য হাজির হবেন। যা ইতেকাফ নামে পরিচিত। এই সময়ের মধ্যেই রয়েছে লাইলাতুল কদর।
সৌদি সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ আজ বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্য জেনারেল প্রেসিডেন্সি ফর দ্য প্রোফেট’স মস্ক অ্যাফেয়ার্স এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। করোনার মহামারির কারণে মুসল্লিদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও নিরাপত্তা বিভাগের সহায়তা নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদীনায় প্রচুর মুসল্লির সমাগম হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার চলামান লকডাউনের মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। নতুন এ বিধিনিষেধে কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তবে ঈদের আগে তিনটি কর্ম দিবস থাকায় কিছুটা শিথিল করে ফের লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। পাশপাশি সীমিত পরিসরে গণপরিবহণ চলাচলের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রসুল মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, রমজানের শেষ ১০ দিনে রয়েছে লাইলাতুল কদর। যে রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।
এদিকে, গত মাসেই সৌদি আরবের মিউনিসিপ্যাল অ্যান্ড রুরাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয় যে, হজ ও ওমরাহ চলাকালে নিয়োজিত কর্মীদের অবশ্যই করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে। এ ছাড়া মক্কা ও মদীনায় থাকা সেলুন, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এবং অন্যান্য খাবারের দোকানে কর্মরতদেরও টিকা নেওয়ার কথা বলা হয়।