ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
ঈদগাঁওতে ঘোষিত লকডাউনেও ক্ষুধার জ্বালায় বের হচ্ছে লোকজন
Reporter Name

স্টাফ রিপোটার,ঈদগাঁও: করোনার মোকাবেলায় ঘোষিত লকডাউন মানছে না কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর সাধারণ খেটে খাওয়া লোকজন। লকডাউনের দিনক্ষন যতই বাড়ছে, ততই হাট-বাজার,রাস্তা-ঘাটে মানুষের উপস্থিতি বৃদ্বি পাচ্ছে।

বিশেষ করে, দিনমজুর,অসহায়,হতদরিদ্র মানুষরা পরিবার পরিজন নিয়ে দুই বেলা খাবার খেতে পার ছেনা ভালভাবে। প্রতিনিয়তই কাজের সন্ধানে বের হয়ে পড়ছেন। তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরলেই মুখে হাসি ফুটে পরিবার পরিজনের।

দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। কিন্তু রমজান মাস হওয়ায় আগামী ঈদের কেনাকাটা করতে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নারী পুরুষ জেলা সদরে বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারমুখী। বিপনী বিতান বা শপিংমল খোলা না রাখার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, অসংখ্য দোকান খোলা রেখে দিব্যি ব্যবসা চালানো হচ্ছে। বিপনী বিতানের বাইরে নিজেদের লোক দাঁড় করিয়ে রেখে অনেক টা গোপনে ভেতরে প্রবেশ করা হচ্ছে ক্রেতাদেরকে। এক্ষেত্রে নেই পুলিশের নজরদারী।

ঈদগাঁও বাজারের অলিগলিসহ সড়ক উপসড়কে

চলাচল করছে টমটম ও রিক্সার পাল। মাঝে মধ্যে পুলিশকে অভিযান চালাতে চোখে পড়ে। লকডাউন ঢিলেঢালা ভাবে চলছে। এতে মাঠ পর্যায়ে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউনেও লোকজন ঘর থেকে হচ্ছে অনেকেই ক্ষুধার জ্বালায়। দিনমুজরেরা জানান, করোনা মোকাবেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু দৈনিক আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জন্য এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়নি। তারা বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হচ্ছেন তারাই। সচেতন লোকজন বাড়ীতে অবস্থান করছেন কিন্তু।

সচেতন মহলের দাবী, বিগত বছর লকডাউন চলা কালে সরকারি, বেসরকারী এবং ব্যক্তিপর্যায় থেকে ব্যাপকভাবে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়েছিল। সেই সময় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও লকডাউন অনেকটাই মেনে ঘরে অবস্থান করছিলেন।

কিন্তু এবার কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজন এখনো পায়নি সহায়তা। তাদেরকে ঘরে রাখা যাচ্ছেনা। পেটের ক্ষুধার তাড়নায় তারা ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছে কাজের সন্ধানে। তারা সহায়তা প্রদানের দাবী জানান।

x