শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজে নামার আগে নিজেদের মধ্যে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটাই বাংলাদেশ দলের সামনে বড় ভরসা। করোনাকালে প্রাথমিক দল নিয়ে লঙ্কায় যাওয়া সফরকারীদের মূল স্কোয়াড নির্বাচনের কাজটাও সারতে হবে ম্যাচটা দেখে। নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ম্যাচের প্রথম দিন হতাশ করেছেন বোলাররা। ব্যাটসম্যানরা ছুটিয়েছেন রানের ফল্গুধারা। চার ব্যাটসম্যান ফিফটি পেরিয়ে গেছেন স্বেচ্ছা অবসরে।
কলম্বোর কাতুনায়েকেতে নিজেদের মধ্যে লাল এবং সবুজ দলে ভাগাভাগি হয়ে খেলতে নামে ২১ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা। লাল দলের অধিনায়কত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং সবুজ দলকে নেতৃত্ব দেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
আগে ব্যাট করে তামিমের লাল দল প্রথম দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৩১৪ রান। খেলা হয়েছে ৭৯.২ ওভার।
অধিনায়ক তামিম ৬৩ রান করে অন্যদের সুযোগ দিতে ২২ গজ ছাড়েন। আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ৫২ রান করার পর অবসরে যান। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৩ রান করে মাঠ ছাড়েন।
মুশফিকুর রহিম সর্বোচ্চ ৬৬ রান করার পর ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। অল্পের জন্য ফিফটি পাননি নুরুল হাসান সোহান। ৪৮ রান করার স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৪ ও তাইজুল ইসলাম ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইবাদত-শরিফুল-শহিদুল-মুকিদুল-নাঈমরা বোলিং করলেও কেউই পাননি সাফল্য। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া শুভাগত হোমও বোলিং করেছেন। বাদ যাননি অধিনায়ক মুমিনুলও। তারপরও লাল দলের একটি উইকেটেরও পতন ঘটাতে পারেনি সবুজ দল।