আজ দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে বন্ধ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে ছুটির প্রহর। যেনো অবসাদের প্রহর কাটতেই চায়না শিক্ষার্থীদের।এর ই মধ্যে করোনার টিকা যেনো অবসাদের অবসান ঘটানোর এক দূত।কি ভাবছেন শিক্ষার্থীরা এই টিকা সম্পর্কে।কতখানি ইচ্ছুক তারা এই টিকা নিতে। তা নিয়ে থাকছে বিস্তারিত। প্রতিবেদন পেশ করেছে , ইশরাত জান্নাতুল ইভা, জবি প্রতিনিধি
টিকা দিতে ইচ্ছুক জবি শিক্ষার্থীরা
করোণা মহামারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকার বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বললেও তা খুলতে পারছেনা। তবে করোনা টিকা আবিষ্কারের পর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যদি টিকার আওতাধীন হয় তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। সরকার বলেছে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আগে খুলে দেওয়া হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ ই আগ্রহ প্রকাশ করছেন টিকা গ্রহণের জন্য। তাই যারা প্রথমবার টিকা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদন করেননি তারা দ্বিতীয়বার আবারো ভার্সিটি প্রদত্ত অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর এর থেকে বোঝা যায় যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণ নিয়ে অনেক বেশি আগ্রহী এবং তারা চায় অবিলম্বে টিকা গ্রহণ করে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারে।
সানজিদা মাহমুদ মিষ্টি
শিক্ষাও গবেষনা ইনস্টিটিউট
(আই ই আর)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
২০২০ এর ৮ই মার্চ, বাংলাদেশে ধেয়ে আসা এক আতঙ্কের নাম,” কোভিড-১৯” বা করোনা ভাইরাস। যার সর্বাধিক বিরুপ প্রভাব পরেছে শিক্ষার্থীদের ওপর।প্রতিটও শিক্ষার্থীর মনস্তাত্বিক বিকাশের প্রধান পরিবেশ হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর সেই প্রতিষ্ঠানের দ্বার যদি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত না থাকে, তাবে তা সুষ্ঠু মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে।দীর্ঘ ১৭মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও তা অনেকটা,” দুধের স্বাধ, ঘোলে মেটানোর মতো”।
সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনা মোতাবেক, শিক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিন নিশ্চিত হলেই খুলে দেওয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কথাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ একমাত্র আবাসিক সুবিধা হীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী( যারা ঢাকায় আছেন কিংবা গ্রামে আছেন) ভ্যাক্সিন গ্রহন করেছে। প্রথমদিকে টিকা গ্রহণ নিয়ে দোটানায় থাকলেও বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেছে। এবং যারা এখনও টিকা নিতে পারেনি তারা নেওয়ার চেষ্টা করছে, তবে সে সংখ্যা খুবই কম।
এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় কোন ঝুঁকি বা সমস্যা আছে বলে আমার মনে হয়না। বরং খুব শীগ্রই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াই হবে।
জয়া সরকার
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
১৫তম আবর্তন
গত বছরের মার্চ মাস থেকে এখনো পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস এবং অনলাইনে মিড এক্সাম হলেও আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম এখনো পেন্ডিং আছে। সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম না হলে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় সেশনজট কমিয়ে দ্রুত সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম নেওয়া জরুরি বলে আমি মনে করি। সে ক্ষেত্রে কতজন শিক্ষার্থীর অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম দেওয়ার পরিস্থিতি আছে সেটা একটা বিবেচনার বিষয়।সবচেয়ে ভালো হতো যদি সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম অফলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া যেত। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ২ ডোজ ভ্যাকসিন দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম দিলে সবাই উপকৃত হতো বলে আমি মনে করি। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে করোনাভাইরাস এর ইফেক্ট ভ্যাকসিন না দেওয়ার সময়-এর থেকে তুলনামূলকভাবে কম পড়ে। ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব না ছড়িয়ে সবার উচিত অপরকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করা।
Sajia iffat
Department ofPhysics
14th batch
করোনা মহামারী যেহারে বেড়েই চলছে সেক্ষেত্রে আমি মনে করি করোনা টিকা নিয়ে নেয়া সবার জন্য গুরত্বপূর্ণ।যদিও এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়না করোনা টিকা নিলেই আমরা এ মহামারী দ্বারা আক্রান্ত হবনা। তবে এটি আমাদের রোগ -প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল খুলে দিতে টিকা নেয়ার বিকল্প নেই।এতে করে আমরা যেমন নিজেরা সুরক্ষিত থাকবো এবং আমার আশেপাশের মানুষও সুরক্ষিত থাকবে। তাই দ্রুত সকল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইশরাত জাহান চাঁদনী
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
১৪ তম ব্যাচ
ছবি প্রকাশে অনিচ্ছুক