ঢাকা, সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলে কালিহাতীর ঐতিহ্যবাহী রামপুর নৌকার হাটে ক্রেতা শূণ্য
মো: শরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের রামপুর পুরাতন শত বছরের নৌকার হাটে বর্ষার মাঝা মাঝি সময়েও নৌকার হাটে ক্রেতা শূণ্য, এখানে বিভিন্ন আকৃতির নৌকা এসেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। তবে এবছর বর্ষার পানি কম থাকার কারণে হাটে লোকজনের আনাগোনা কম বিধায় তেমন বাড়েনি নৌকা বিক্রি।

বর্ষার শুরু থেকেই নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর একমাত্র ভরসার যান হলো নৌকা এসব নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সাধ্যের মধ্যে নৌকা কিনতে এ হাটে ছুটে আসছে। এসব মানুষের মালামাল পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে নৌকা হাটে আসা শুরু করে হাট চলে সন্ধা পর্যন্ত। ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট শুধু নামেই বিখ্যাত নয়, এখানে সাধ্যের মধ্যে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য রয়েছে নানা ধরনের নৌকা। বড় কয়েকটি নদীতে পানি বাড়ায় ধীরে ধীরে ছোট শাখা নদীগুলোয় পানি বাড়তে শুরু করেছে। এজন্য নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রস্তুত্তির জন্য নৌকার হাটে আসতে শুরু করেছেন। আশপাশের বাসাইল, সখিপুর উপজেলা থেকেও ক্রেতা-বিক্রেতা আসছেন এ হাটে। নৌকার কাঠামো তৈরিতে মেহগনি, কড়ই, গজাড়ি ও রেনট্রি কাঠের ব্যবহার বেশি। মান ও আকার ভেদে একেকটি নৌকা ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তবে এ বছর নৌকার দাম নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।

বাসাইল উপজেলার ফুলকি গ্রামের গোপাল বলেন, ‘বর্ষার সময় নৌকা ছাড়া আমাগো চলাফেরা করার কোনো উপায় নেই। আর সেজন্যই এক বা দুই বছর পর পর নৌকা কিনতে হয়।

উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের মহিষজোড়া গ্রামের সদেব চন্দ্র মন্ডলের ছেলে, সুভাষ চন্দ্র মন্ডল, গোপাল চন্দ্র মন্ডল, বল্লা ইউনিয়নের তোতা মিয়া, পাশ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের নৌকা ব্যবসায়ী বাবুলর মিয়া এরা বলেন, আমরা নিজ হাতে নৌকা বানাই। রামপুর পুরাতন হাটে বেচতে আনি নৌকা প্রতি হাটের খাজনা নেয় ২০০-৩০০ শত টাকা।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এ হাট থেকে নৌকা কিনে ৭ হাজার ৫ শত টাকা দিয়ে। তবে এ বছর বর্ষার পানি কম হওয়ায় এখনো পুরোদমে নৌকার বেচাকেনা শুরু হয় নাই। নৌকা ব্যবসায়ী ও পাইকাররা ইচ্ছামতো দাম চাচ্ছেন। আবার নৌকা যাও কিনেছি হাটের ইজারা দিতে হলো ৭ শত টাকা। প্রতি একশত টাকায় ১০-১২ টাকা।

এবছর নৌকার দামে কম হলেও ইজারা দিয়ে নৌকা কিনে সব মেলে বেশি টাকা গুনতে হয়।

‘নৌকার কারিগর কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের মহিষজোড়া গ্রামের গোপাল চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘লকডাউনে সব জিনিসের দাম বাড়ায় এ বছর খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে নৌকা তৈরীতে। তাই দাম অন্য বছরের তুলনায় একটু বেশি। সে কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছে।

নৌকার হাটে ইজারা বেশি নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে রামপুর হাটের ইজাদার আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয়ে অশিকার করে বলেন, সবই মিথ্যা।

x