সিলেট সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত খাদিমনগরস্থ সামাজিক প্রতিবন্ধী নারীদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চার নারীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চার নারী জানালার গ্লাস ভেঙে হাত-পা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে সমাজসেবা অধিদফতরের সামাজিক প্রতিবন্ধী নারীদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র শহরতলীর খাদিমনগরে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যার চেষ্টা করা চার তরুণী হলেন- কলি বেগম (২১), পপি আক্তার (২২), সুহাদা আক্তার তান্নি (১৬) ও সুলতানা আক্তার লিজা (২২)।
চার নারীর অভিযোগ, পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রশিক্ষক দেলোয়ার ও অফিস সহকারী আনোয়ারা নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। বিভিন্ন সময় তাদের জুতাপেটাও করেছে আনোয়ারা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দেলোয়ার তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে; অশ্লীল কথাবার্তা বলেছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা।
তারা আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে ৩৮ নারী ও দুই শিশু মিলে ৪০ জন ছিলেন। এর মধ্যে কিছুদিন আগে এক নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেন। তার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছে দেলোয়ার।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদফতর সিলেটের উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ বলেন, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামান্য কিছু হলেই হাত কেটে ফেলেন তারা। এর আগেও একাধিকবার নিজেরাই হাত-পা কেটে ফেলেছেন। পাঁচ দিন ধরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্টোরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। কেন্দ্রের এক নারীর মৃত্যুতে শুক্রবার মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের বুঝিয়ে বলা হয়েছিল, শিরনির জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ নেই। স্টোরে যা বরাদ্দ সেগুলো রান্না করা হবে। ওই কথা শুনে কোনও কারণ ছাড়াই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।