যশোর লুন্ঠিত মাইক্রোবাস এবং ডাকাতিকাজে ব্যাবহৃত ২টি চাকু সহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে।গত বৃহষ্পতিবার( ১২ ই আগস্ট) সকালে বাঘারপাড়া থানাধীন সুকদেবনগর এলাকায় স্থানীয় জনগন মাইক্রোবাস সহ ৪ জন ডাকাত সদস্যকে আটকিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আটকে রাখা ডাকাতদের গ্রেফতার করেন। এসময় গাড়িতে থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল ও লুন্ঠিত মাইক্রোবাস জব্দ করেন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধৃত আসামীরা হলেন নড়াইল জেলার নাড়াগাতি থানার নয়নপুর গ্রামের মৃতঃ মুক্তার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান (৪০),সাতক্ষীরা জেলার মাছখোলা গ্রামের জমাত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০),যশোর জেলার শার্শা থানাধীন সেতাই গ্রামের নজির উদ্দিন শেখের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫২) ও একি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান (৩৫)।
যশোর জেলার গোয়েন্দা পুলিশের প্রেস বিঙ্গপ্তি হতে জানা যায়, গত ১২ ই আগষ্ট ভোর রাতে আশরাফুজ্জামান তার মাইক্রোবাস চালক ইকবাল হোসেনকে নিয়ে ঢাকা হতে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। খুলনা রুপসা ফেরিঘাট দিয়ে খুলনা ডুমুরিয়া থানাধীন গুটুদিয়া নামক স্থানে পৌছালে ১টি প্রাইভেটকার তাদের ওভারটেক করে রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে অস্ত্র উচিয়ে ভয়ভিতী দেখিয়ে তাদের আটকিয়ে হাত,পাঁ ও চোখ বেধে যশোরের বাঘারপাড়া থানাধীন সাইটখালী এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে মাইক্রো নিয়ে চলে যায়। স্থানীয় জনগন তাদের উদ্ধার করে বাঘারপাড়া থানায় পুলিশ কে বিষয়টি অবহিত করেন। এলাকার জনগন সহ পুলিশের সম্মলিত প্রচেষ্ঠায় সকাল আনুমানিক ১০টার সময় সুকদেব নগর এলাকা হতে লুন্ঠিত মাইক্রোবাস সহ ঐ চার ডাকাতদলকে ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার অন্তর্গত হাড়দাহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে চালক ইকবাল হোসেন বাঘারপাড়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।বাঘারপাড়া থানার মামলা নং-৭ ও তারিখ ১২-৮-২০২১ ইং।
মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় পুলিশ সুপার মামলার তদন্তভার ডিবির উপর ন্যাস্ত করেন। ডিবি পুলিশের এস আই মফিজুল ইসলাম ও এসআই শামীম হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামেন।ধৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুলনা মেট্রোপলিটনের খালিশপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডাকাতি কাজে ব্যাবহৃত ১টি প্রাইভেটকার,২টি বার্মিস চাকু উদ্ধার ও নগদ ২০ হাজার টাকা ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করেন। ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য বলে স্বীকার করেন।গাড়ীতে স্বর্ন আছে এমন তথ্য পেয়ে আসামীরা রুপসা ফেরিঘাট থেকে পিছু নিয়ে খুলনা ডুমুরিয়া থানা এলাকায় গাড়িটির গতিরোধ করে মামলার বাদী ও সঙ্গীয় ১ জনকে আটকের কথা স্বীকার করে আরো জানাই তারা। মামলার বাদীকে জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়,গাড়ীতে কোন স্বর্ন ছিলো না।
এ বিষয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচাজ রুপন কুমার সরকার ডিবি সদস্যদের অভিযানে ডাকাতি কাজে ব্যাবহৃত প্রাইভেটকার ও চাকু উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। এরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের ব্যবহৃত গাড়ী যোগে ডিবি,র্যাব,পুলিশ সদস্য পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের ছিনতাই ও ডাকাতি করে থাকেন। ধৃতদের মধ্যে ২০১৫ সালে চাকুরিচ্যুত মিজানুর রহমান নামের এক প্রাক্তন পুলিশ সদস্য রয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের গভীর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে ।
… [Trackback]
[…] Here you will find 18547 additional Information to that Topic: doinikdak.com/news/47184 […]