ঢাকা, সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
বার্সেলোনার কাছে এখনো ৫০০ কোটির বেশি পাওনা মেসির
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

মেসির বার্সেলোনা–অধ্যায় শেষ হয়েছে গত রোববার। জীবনের ২১টি বছর যে ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তাদের মায়া কাটিয়ে গত মঙ্গলবার পিএসজিতে চলে গেছেন মেসি। আগামী দুই বছর প্যারিসকে নিয়েই স্বপ্ন দেখবেন ৩৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তাঁর পায়ের জাদু এখন পিএসজি সমর্থকদের বুকে আলোড়ন তুলবে।

বার্সেলোনার সঙ্গে খেলোয়াড় মেসির সম্পর্ক শেষ। কিন্তু মাঠের বাইরে সব চুকেবুকে যেতে এখনো অনেক বাকি। বার্সেলোনার কাছে ৫ কোটি ২০ লাখ ইউরো পাওনা মেসির। বাংলাদেশি মূল্যমানে ৫১৯ কোটি টাকার এই অঙ্কটা মেসির পাওনা বকেয়া বেতন বাবদ। বার্সেলোনাভিত্তিক স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্ত এই খবর দিচ্ছে। সূত্র হিসেবে বলেছে, তারা কথা বলেছে বার্সা এবং মেসির কাছের মানুষ—দুই পক্ষের সঙ্গে, দুই পক্ষই তাদের নিশ্চিত করেছে, অর্থের এই অঙ্ক আসলেই মেসির পাওনা।

বার্সেলোনার সঙ্গে এর আগের চুক্তিতে মেসি ক্লাবকে কিছু সুবিধা দিয়েছিলেন। ক্লাব তাঁকে চার বছরের বেতনে প্রথম দুই বছর কম বেতন দিয়েছিল। পরের দুই বছরে আর্থিক অবস্থার উন্নতির প্রেক্ষাপটে সেটা বার্সেলোনা শোধ করে দিয়েছিল। এবারের পরিস্থিতি অবশ্য একটু ভিন্ন। এবার আর চুক্তির কোনো শর্ত নয়, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে বেতন কম নিতে হয়েছিল মেসিকে। এখন সেটাই শোধ করতে হবে বার্সাকে।

বার্সেলোনাভিত্তিক সংবাদপত্র স্পোর্ত জানিয়েছে, করোনাকালে বার্সেলোনার পুরো স্কোয়াড বেতন কমাতে রাজি হয়েছিল। প্রথম দফায় ক্লাবকে আর্থিকভাবের ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচানোর জন্য ২০১৯–২০ মৌসুমে দুই মাসের বেতনের ৭০ ভাগও কমিয়েছিলেন মেসিরা। এরপরও মেসিদের আরও কম বেতন নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে। বলা হয়েছিল, এই বকেয়া বেতন পরে পরিশোধ করে দেওয়া হবে।

বার্সেলোনা তখন ভেবেছিল, করোনা পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, গ্যালারিতে দর্শক ফিরে আসবেন। আর বার্সেলোনার আয়ও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন ধীরেসুস্থে সব পরিশোধ করে দিলেই চলবে। এভাবে আচমকা মেসিকে বিদায় নিতে হবে, সেটা ভাবতে পারেননি কেউ। এখন মেসির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়াতেই সে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

বার্সেলোনার কাছে মেসির পাওনা ৫ কোটি ২০ লাখ ইউরো। এর পুরোটাই অবশ্য বকেয়া বেতন নয়। চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করায় মেসি ‘লয়্যালটি বোনাস’ পাবেন ক্লাবের কাছ থেকে। সেটাও বাড়িয়েছে বার্সেলোনার বোঝা। তবে এখনই ক্লাবকে বোনাসের জন্য চাপ দিচ্ছেন না মেসি। দুই পক্ষের আইনজীবীরা এ নিয়ে আলোচনা করছেন, কীভাবে এই বকেয়া আদায় করা যায় তা নিয়ে। বার্সেলোনা চাইছে ২০২২ সালে মেসির বকেয়া পরিশোধ করতে।

ধাপে ধাপে মেসির বকেয়া শোধ করতে চাইছে বার্সেলোনা। এদিকে এই মৌসুমে লা লিগায় স্টেডিয়ামে দর্শক ফিরবেন। বার্সেলোনাও আর্থিক দুর্দশা কাটিয়ে ওঠার আশা করছে। যদিও দর্শক ফেরার পরও এবার বার্সার জার্সি ও অন্যান্য পণ্যের বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কম। যাঁর জার্সি সবচেয়ে বেশি বিকোত, সেই মেসিই তো এখন পিএসজির!

x