ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে কর্মস্থল মুখী মানুষের ঢল
আর জে শান্ত, ভোলা

সারা দেশে আগামী ১ আগষ্ট (রবিবার) থেকে তৈরি পোষাক শিল্প গার্মেন্টসহ সকল প্রকার রপ্তানি মুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষনা দেয় সরকার।

আগামীকাল রোববার থেকে সবধরনের শিল্প-কলকারখানা খোলার ঘোষনার পর থেকেই শত ভোগান্তি মাথায় নিয়ে চাকরি বাঁচাতে ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরী ঘাটে এসে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে নিজ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য।

শিল্প কলকারখানা খোলার ঘোষনা দেওয়ার পর  থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলার মত ভোলা জেলার ও হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ ছুটে চলছে নিজ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ঘাটে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যোগ দেওয়া উদ্দেশ্যে ভোলা জেলার হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ এসে ইলিশা ফেরিঘাটে ভিড় জমাতে থাকে।

শনিবার (১ আগষ্ট) সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ ইলিশা লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাট এসে ভিড় জমাতে থাকে। এবং সকাল থেকেই এই রুটে চলাচলকারী ফেরিগুলো শত শত যাত্রী নিয়ে লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় শত শত যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া ফেরী গুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো তোয়াক্কা করছে না কেউ, কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে যাত্রী সাধারণ কেউ ই কোন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না এবং ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে পারাপার হচ্ছে এসকল ফেরী গুলো।

চলমান লকডাউনে যাত্রীবাহী যানবাহন গুলো বন্ধ থাকার কারণে মানুষ মোটরসাইকেল মাহিন্দ্রা ও বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে ডাবল টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতেছে, এবং ঘাট থেকে ফেরীতে অতিরিক্ত  টাকা ভাড়া দিয়ে তারা লক্ষ্মীপুর, রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছুটে চলছে। তবে আজ সকাল থেকে ঘাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় কেন তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এবং এত তাড়াহুড়ো করে কর্মস্থলের দিকে ছুটে চলছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মালেক নামে একজন গার্মেন্টস কর্মী জানান, সরকার লকডাউন দিয়েছে ওদিকে আমাদের কারখানা খুলে রেখেছে। কারখানায় যদি আমরা সময় মতো না যেতে পারি তাহলে আমরা চাকরি হারাবো। আর চাকরি হারালেন আমরা কি খাবো, তাই বাধ্য হয়েই লকডাউন এর ভিতরে জীবনের ঝুকি নিয়েই কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ডাবল টাকা খরচ করে যেতে হচ্ছে। একই কথা বলেন জামাল, ও রিপন নামের দুই বায়িং হাউজের শ্রমিক।

পণ্যবাহী ফেরীতে কিভাবে শত শত যাত্রী পারাপার হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ জানান লকডাউন এর কারণে সীমিত পরিসরে ফেরী চলাচল করছে, ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরে এখন বর্তমানে তিনটি ফেরী চলাচল করছে, এই সুযোগে ব্যবহার করে লক্ষ্মীপুর ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে শত শত মানুষ।

এদের অধিকাংশই নিন্ম আয়ের মানুষ, যারা পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x