“করোনার ভয়ে নয়,ভয় পাই যদি চাকরিটা চইলা যাই, আর চাকরি চলে গেলে খাইমু কি” বলছিলেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার খেটে খাওয়া করোনার সংক্রমণ উপেক্ষা করে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকামুখী গার্মেন্টস,শিল্পকারখানা কর্মীরা।গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কারখানা শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার কথা চিন্তা করে আজ রবিবার ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন চলে।তাই শনিবার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কটিয়াদী থেকে শতশত শিল্প শ্রমিক কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকা ও গাজীপুরের উদ্দেশ্যে ছুটেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,১ আগস্ট রবিবার থেকে গার্মেন্টস ও অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষনা দেন সরকার।এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে করোনা ভাইরাসের কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কর্মস্থলে যোগ দিতে ছুটছে মানুষ। কেউ হেটে,কেউ ট্রাকে,কেউ বিকল্প কোনো যানে ঢাকামুখী যাত্রা শুরু করে।সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষকে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি। সেইসঙ্গে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।তবু কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কর্মমুখী মানুষের ঢল। গণপরিবহন পরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে গাদাগাদি করে ট্রাক,পিকআপভ্যান,সিএনজি,অটোরিকশা,মোটর সাইকেলসহ যে যেভাবে পারছে কর্মস্থলের দিকে ছুটছে।
কটিয়াদী উপজেলার শিল্প শ্রমিক কামাল মিয়া,পারভীন আক্তারসহ একাধিক শ্রমিকরা জানান,আগামীকাল কারখানা খোলা তাই কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকার মিরপুরে যাচ্ছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই। দ্বিগুন তিনগুন ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।