টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মসজিদ ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সমাজ বাসীর পক্ষে হিসাব চাওয়ায় ৩ পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে ওই সাধারন সম্পাদক ও তার বাহামভূক্তরা। এলাকায় থমথমে অবস্তা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন এলকায় গিয়ে ভূক্তভোগী পরিবারের সংঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নে তাতশ্রী গ্রামে জামে মসজিদ নির্মাণ কাজে বিভিন্ন দাতার নিকট থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহিত ওই অর্থ মসজিদ ভবন নির্মাণ কাজে এককভাবে ব্যয় করেন কমিটির সাধারন সম্পাদক তাতশ্রী গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে আবদুল কাইয়ুম। পরে সমাজবাসীর পক্ষে মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ ওমমান গণি দুদু আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে আবদুল কাইয়ুম হিসাব না দিয়ে আরও ১৮ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে সমাজে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। কাইয়ুম কৌশলে গ্রুপে ভেড়ান সমাজের প্রভাবশালী আবদুল হালিম রতন, শাহাদত হোসেন খান ও রহিম বাদশাকে। আবদুল হালিমের পক্ষে তারা বাহামভূক্ত হয়ে ওসমান গণি দুদু ও তার সমর্থনকারী দুই ভাই ইয়াসিন আলী ও শাহালমকে সমাজচ্যুত করে। ওসমান গণি দুদুর অভিযোগ কাইয়ুম ও তার সহযোগিরা তাদের ঈদ গাঁ মাঠে পশু কোরবানি করতে দেয় নি। এমনকি মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। আমাদের মধ্যে মৃতদের লাশ সামাজিক কবরেও দাফন করা হবেনা এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। মসজিদের পাশে মাদরাসার জায়গায় নিমৃত ৭ টি পাঁকা দোকান ঘর তারা কৌশলে দখলে নিয়েছে। সমাজের আরেক প্রতিবাদকারী মৃত লোকমান হোসেন খানের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, তাকে সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। গ্রামবাসী আবদুর রহিম জানান, কাইয়ুম ও তার বাহামভূক্তরা সমাজে প্রভাবশালী তারা মসজিদ ও মাদ্রাসার তহবিল তসরুপ করলেও তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কেউ নেই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুল কাইয়ুম বলেন, বিভিন্ন দোকান থেকে নির্মাণ সামগ্রী বাকিতে এনে মসজিদে নির্মাণ কাজ করেছি। দোকানের বকেয়া আমি পরিশোধ করে দিয়েছে। সমাজের নিকট এখনও আমি আঠারো লক্ষ টাকা পাব। সমাজ থেকে তাদের আলাদা করা হয়নি।তারা সমাজ থেকে নিজের ইচ্ছে তে চলে গেছে।তাই তাদের সাথে সমাজের মানুষের কোন প্রকার যোগাযোগ নেই।
এই প্রসঙ্গে লাউহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রকিবুল ইসলাম খান ফিরোজ বলেন, যে তাতশ্রী গ্রামের মসজিদ – মাদ্রাসা নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এটি মীমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে একাধিক বার বসে আলোচনা করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ার এ বিষয়ে আর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।