কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় জামাল উদ্দীন হত্যায় নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল ১৩ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ষড়যন্ত্রের শিকার শওকত আলীর স্ত্রী রুবি আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় হামলায় আহত মাস্টার পাড়ার মৃত ফজল কবিরের ছেলে জামাল উদ্দিন পাঁচদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। তাকে কে বা কারা হত্যা করে এখনো কেউ অবগত নয়। কিন্তু একটি মহল পূর্ব শত্রæতার জের ধরে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই হত্যার সাথে শওকত আলী, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন, লিয়াকত আলী, সাদ্দাম হোসেন ও ওসমান গণিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যার আলোকে জামাল উদ্দীন হত্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়। যা ওই কুচক্রী মহল সাংবাদিক ভাইদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে তাদের নাম প্রচার করে।
সংবাদ সম্মেলনে শওকত আলীর মা দিলদার বেগম বলেছেন, আমি পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে শপথ করছি আমার সন্তানেরা এই ঘটনায় জড়িত নেই। আমরা এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সুনামে সাথে কাঠ ব্যবসা করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু স্থানীয় একটি মহল এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামাল উদ্দিনের পরিবারকে আমার পরিবারের সদস্যদের মামলায় জড়াতে উস্কে দিচ্ছে।
স্থানীয় প্রতিবেশী লায়লা বেগম ও নুর মোহাম্মদ বলেন, জামাল হত্যার সাথে শওকত আলীসহ তার পরিবারের সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া এই ঘটনায় এলাকার এক বাকপ্রতিবন্ধির স্বাক্ষী নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। বাকপ্রতিবন্ধিকে ৫০ টাকা দিয়ে স্বাক্ষি নেওয়ার কথা স্বিকার করেন তার পিতা। তাকে পকেটে টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে স্বাক্ষি আদায় করে।
এই ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি জামাল উদ্দিনকে যারা নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কিন্তু এই ঘটনায় যেন কোন নিরাপরাধ মানুষকে ফাঁসানো না হয় সেজন্য মাননীয় পুলিশ সুপার ও সদর মডেল থানার ওসির প্রতি আকুল আবেদন করা হয়। পাশাপাশি কোন কুচক্রী মহল যেন জামাল হত্যা নিয়ে সুবিধা আদায় করতে না পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শওকত আলীর মা দিলদার বেগম, স্ত্রী রুবি আক্তার, প্রতিবেশী নুরু মোহাম্মদ ও লায়লা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
Leave a Reply