দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে সংক্রমণ। চলতি জুলাইয়ের প্রথম ৭ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। একই সময় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনার ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বলা হচ্ছে, এরকম অস্বাভাবিক হারে রোগী বাড়তে থাকলে চিকিৎসাসেবা ও অক্সিজেন সরবরাহ চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে করোনার লাগাম টানতে প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রংপুর বিভাগে আজ (৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৮ জেলায় ৭৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩ জেলায় একদিনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় দিনাজপুরে ২ জন, লালমনিরহাটে ৩ জন এবং নীলফামারী জেলায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৪৮০ জন। এ নিয়ে বিভাগে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫শ’ ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট ৩০ হাজার ৮শ’ ৫৭ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এছাড়া ৬শ’ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২২ হাজার ২শ’ ২৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগের দিনাজপুরে ২২৬, ঠাকুরগাঁয় ১৪৮, রংপুরে ১১৬, নীলফামারীতে ৮৯, প গড়ে ৫৪, গাইবান্ধায় ৪৭, কুড়িগ্রামে ৪২ এবং লালমনিরহাট জেলায় ২২ জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সোহরাব আলী জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় ৯ হাজার ৮শ’ ৭৪ জন আক্রান্ত ও ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর জেলায় ৬ হাজার ৮শ’ ৩২ আক্রান্ত ও ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ হাজার ২শ’ ৩৫ জন আক্রান্ত ও ১০৯ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধা জেলায় ২ হাজার ৪শ’ ৬৩ জন আক্রান্ত ও ২৯ জনের মৃত্যু, নীলফামারী জেলায় ২ হাজার ২শ’ ১৮ জন আক্রান্ত ও ৪২ জনের মৃত্যু, কুড়িগ্রাম জেলায় ২ হাজার ১শ’ ৩০ জন আক্রান্ত ও ৩০ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাট জেলায় ১ হাজার ৭শ’ ৪১ জন আক্রান্ত ও ৩৭ জনের মৃত্যু, পঞ্চগড় জেলায় ১ হাজার ৩শ’ ৭৮ জন আক্রান্ত এবং ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।