এই প্রোগ্রাম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।ক্যাম্পাস রাউন্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজন অর্গানাইজিং কমিটি। আর সেই রিক্রুটমেন্ট এর রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে যা শেষ হবে আগামী ১৯ই জুলাই ২০২১। এখানে মেম্বার রিক্রুটমেন্ট করা হবে কয়েকটি বিভাগে যেমন- ১. ডিজাইন এন্ড ইনফোগ্রাফিক ২. ডকুমেন্টেশন এন্ড ক্রিয়েটিভ রাইটিং ৩. ফাইন্যান্স এন্ড কর্পোরেট ৪.জাজেজ এন্ড পার্টিসিপেন্ট ম্যানেজমেন্ট ৫.মিডিয়া ,ব্রান্ডিং এন্ড প্রোমোশন ৬. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট । কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন বিভাগের শিক্ষার্থী উক্ত সেক্টরগুলোতে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে যদি সে ওই বিষয়ে দক্ষ হয়। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে হাল্ট প্রোগ্রামের ক্যাম্পাস রাউন্ড শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আর এই ক্যাম্পাস রাউন্ডের আবেদন প্রক্রিয়া সেপ্টেবর থেকে নভেম্বর এর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।
২০২১-২২ বর্ষের হাল্ট প্রোগ্রামের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন ২০১৭-১৮ সেশনের নৃবিজ্ঞান বিভাগের আসমা আক্তার মুক্তা। তিনি আয়োজন সম্পর্কে মতামত দেন যে, “হাল্ট প্রাইজ একটা আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম যেটি তৃতীয় বারের মত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করার কার্যক্রম শুরু করেছি। গত দুই বছরের ন্যায় এইবছর ও এই প্রোগ্রামটিকে ক্যাম্পাসে সফলতায় রূপ দিতে আমি আশাবাদী। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের নতুন কমিটি গঠন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ তাই অর্গানাইজিং কমিটি রিক্রুটমেন্ট প্রসেস আমরা শুরু করে দিয়েছি। আমার বিশ্বাস হাল্ট প্রাইজের এবারের প্রোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরাদের সেরা যারা তাদেরকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারবো এবং শিক্ষার্থীরাও যাতে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা কিভাবে সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে সেটা কোন উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারে সেই আইডিয়া নিয়ে হাল্ট প্রাইজের ক্যাম্পাস রাউন্ডে অংশগ্রহণ করে যেটি বিশ্বের সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় বড় অবদান রাখবে।”
উল্লেখ্য ,প্রতি বছর আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বিশ্বের এমন একটা সামাজিক সমস্যা কে তুলে ধরেন যেটি বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। আর এই প্রতিযোগিতায় তিনি সেই চ্যালেঞ্জটি প্রতিযোগিদের উদ্যেশ্যে চূড়ে দেন। তিন থেকে চার সদস্যের এক একটি প্রতিযোগী দল সেই সামাজিক সমস্যা গুলো সমাধান এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের উদ্ভাবনী ধারণা তৈরি করে।
প্রতিযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে হার্ভার্ডসহ বাংলাদেশও বিশ্বের ১২১ টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর হাল্ট প্রাইজ প্রোগ্রামটির ক্যাম্পাস রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়৷ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলো জেনারেল এপ্লিকেশন রাউন্ডে অংশগ্রহণ ছাড়াই সরাসরি মুম্বাই ,সিঙাপুর ,সাংহাইসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সমাপনী রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় । নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস এই প্রতিযোগিতার নামকরণ করেছেন ” শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার”। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আয়োজিত প্রতিযোগিতাসমূহে আবাসন সমস্যা ,শিক্ষার সুব্যবস্থা ,সুপেয় পানির অপ্রতুলতা ,নির্ভরযোগ্য শক্তি ও সৌর ব্যবস্থাপনা খাদ্য ও স্বাস্থ্য সমস্যা ইত্যাদি উঠে এসেছে। সমস্যা ভেদে দেয়া সমস্যা সমাধানে সেরা আইডিয়া প্রদান করা দলকে হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন কতৃক এক মিলিওন ডলার(বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৮কোটি টাকা) পুরস্কৃত করা হয় তাদের সেই আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্য।পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সংগঠনের নিকট থেকে প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকে।প্রত্যেকের জন্য ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনেশিয়েটিভ ’ মত আকর্ষণীয় সংস্থার সদস্যপদ লাভ এবং পরীক্ষামূলক অর্থ সংস্থানের সুবিধাও বরাদ্দ রয়েছে।