ঢাকা, রবিবার ১২ মে ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
কৃষক ও গৃহিণীকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সাজিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা – গ্রেপ্তার ৫
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক
দৈনিক ডাকঃ কৃষক ও গৃহিণীকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সাজিয়ে ব্যাংকে এ্যাডভাইস ও বিল দাখিল করে প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর থানা হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক মো.রেজাউল হক।
গত ১লা জুলাই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রহমান, অফিসের অডিট কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, মাষ্টাররোল কর্মচারী তানভীর, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নওদাবস, নিউ বড়ভিটা গ্রামের রনজিত কুমার, প্রবাশ চন্দ্র রায়, সুবল চন্দ্র মোহন্ত, কমল চন্দ্র রায়, ফুলমনি রাণী, ও ঢাকার উত্তরখান জামতলা এলাকার শাহেনা আক্তারকে আসামি করে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৭জুন উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার বজলুর রহমানের সাক্ষর কৃত এ্যাডভাইসের মাধ্যমে সরকারি চাকুরীজিবীদের আনুতোষিক সংক্রান্ত ৫টি বিল পরিশোধের জন্য মোট ২ কোটি ৪৬লাখ ৯হাজার ৯৬০টাকা প্রদানের জন্য এ্যাডভাইসের হার্ডকপি  ব্যাংকে জমা দেন মাষ্টাররোলের কর্মচারী তানভীর। টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ব্যাংক থেকে হিসাবরক্ষণ অফিসে ফোনে যোগাযোগ করলে হিসবারক্ষণ কর্মকর্তা এ্যাডভাইসের বিষয়টির নিশ্চয়তা দেন।
সে অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক নাগেশ্বরী কুড়িগ্রাম শাখায় রনজিত কুমারের সঞ্চয়ী হিসাবে ৪৮লাখ ৪৫হাজার ৭২০টাকা, প্রবাশ চন্দ্র রায়ের হিসাব নম্বরে ৬৫লাখ ৭২হাজার ১২০টাকা, সুবল চন্দ্রের হিসাব নম্বরে ৪০লাখ ৭১হাজার ৭২০টাকা, কমল চন্দ্রের হিসাব নম্বরে ৪২লাখ ৪৯হাজার ৮৮০টাকা, ফুলমনি রাণীর হিসাব নম্বরে ৪৮লাখ ৭০হাজার ৫২০টাকা প্রদান করা হয়।
ঘটনার পরদিন ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তারা নাগশ্বরী শাখায় যোগাযোগ করে হিসাব নাম্বার গুলো যাচাই করে তারা কেউ সরকারি চাকুরীজীবি নয়, তারা কৃষক ও গৃহিণী জানতে পেরে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজখবর নিয়ে এই বিলে ঝামেলা রয়েছে বলে জানতে পারেন।
বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে পেমেন্ট না করার জন্য সোনালী ব্যাংক নাগেশ্বরী শাখাকে জানানো হয়।
পরে শাহেনা আক্তার নামে জনৈক মহিলা উত্তরখান শাখা থেকে টাকাগুলো উত্তোলনের জন্য নাগেশ্বরী শাখার চেকগুলো জমা দেন। এখানেও বিষয়টি ধরা পরে ও জানাজানি হওয়ায় টাকা তুলতে পারেননি প্রতারক চক্র।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, সরলতার সুযোগে মাস্টারোলের কর্মচারী তানভীর তার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাক এবং  এ্যাডভাইস ও বিলে স্ক্যান করে সাক্ষর বসিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়েছে। যা তিনি অবগত নয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা। ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

5 responses to “কৃষক ও গৃহিণীকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সাজিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা – গ্রেপ্তার ৫”

  1. … [Trackback]

    […] Find More on on that Topic: doinikdak.com/news/32549 […]

  2. … [Trackback]

    […] Read More on that Topic: doinikdak.com/news/32549 […]

  3. … [Trackback]

    […] Read More to that Topic: doinikdak.com/news/32549 […]

  4. … [Trackback]

    […] Info to that Topic: doinikdak.com/news/32549 […]

  5. … [Trackback]

    […] Find More here on that Topic: doinikdak.com/news/32549 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x