ঝুপড়ি ঘরেই দুই যুগ ধরে বাস করছেন অশীতিপর বৃদ্ধা জবেদা খাতুন (৭১)। জবেদা খাতুন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের গেরামারা চৌরাস্তা এলাকার মৃত আজিজল হকের স্ত্রী।
স্বামী আজিজল হক ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গত হয়েছেন প্রায় ৩ যুগ। স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্যের বাড়িতে কাজ করে অতি কষ্টে ৫ সন্তানকে মানুষ করেছেন। ছেলেরা বিয়ে সাদি করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার করছেন যে যার মতো করে। দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন।
বছর পাঁচেক আগে ছোট মেয়ে আমেলার স্বামী মারা গিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর স্বামী ভিটে মাটি না থাকায় সেই থেকে বৃদ্ধা মা জবেদা খাতুনের সাথে ঝুপড়ি ঘরেই কোন মতে মাথা গুজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। মা-মেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন ভিক্ষাবৃত্তি অথবা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। বর্তমানে বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়ায় ঠিক মতো কাজ কর্ম করতে পারেন না জবেদা খাতুন ।
মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য ভিটা মাটিতে দুই ছেলে ঘর তোলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে। আর এক ছেলে শ^শুর বাড়িতে থাকেন। বৃদ্ধা জবেদা খাতুন মেয়ে আমেলাকে নিয়ে অন্যের এক খন্ড জমিতে ঝুপড়ি ঘর করে থাকেন ।
এব্যাপারে জবেদা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কষ্ট করছি। বৃদ্ধ বয়সে এসেও আমার কষ্ট শেষ হলো না। নিজের জায়গা জমি না থাকায় বাধ্য হয়ে অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর করে অতি কষ্টে বিধবা মেয়েকে নিয়ে থাকি। এখন আমি জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছেছি। শুনেছি শেখের বেটি হাসিনা ভূমিহীনদের জন্য ঘর দিচ্ছে। আমাকে যদি দয়াকরে একটা ঘর দেয় তাহলে জীবনের শেষ কয়টা দিন একটু আরাম করে ঘুমাতে পারবো। প্রতিবেশি তোফাজ্জল হোসেন ঘুডু বলেন, আমি অনেক ছোট কাল থেকে দেখতেছি, চাচি বেটি (জবেদা খাতুন) অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়ে মানুষ করছে এবং অনেক বছর যাবত অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর করে থাকতেছে।