রোয়াংছড়ির তুলাছড়ি পাড়ার জামে মসজিদের ইমাম ওমর ফারুক হত্যার বিচার ও হত্যাকারী দের গ্রেফতার দাবী জানালেন পাবত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান পাবর্ত্য জেলা সভা পতি কাজী মো: মুজিবুর রহমান।
২রা জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ্য করে- বিগত ১৮ই জুন দিবাগত রাত নয়টার দিকে রোয়াংছড়ির তুলাছড়ি পাড়ার জামে মসজিদের ইমাম নওমুসলিম মো: ওমর ফারুক এশারের নামাজ শেষে বাড়ীতে ফেরার পথে উৎপেতে থাকা বিচ্ছিন্নবাদী (জেএসএস) সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। ফারুক তুলাছড়ি পাড়ার প্রত্যান্ত এলাকায় একটি টিনের মসজিদ গড়ে তুলেন এবং সে নিজেই ঐ মসজিদে ইমামতি করতেন। পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা ইসলামে নবদীক্ষিত ওমর ফারুক ত্রিপুরা ও তার পরিবারের সদস্য দের হুমকি এবং তাদের ধর্ম-কর্ম সম্পাদনে বাঁধা দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করে। ফারুক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দৃবৃত্ত গোষ্টি একটি ম্যাসেজ দিয়ে গেল যে, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে, ইসলামের দাওয়াতী তৎপরতা চালালে এবং মসজিদ নির্মান করলে এভাবে লাশ পড়বে। এখানে লক্ষ করার মতো আর তা হল- মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং রাজধানী কেন্দ্রীয় কথিত প্রগতিবাদী সুশীল সমাজ পাবত্য চট্রগ্রামে পান থেকে চুন খসলে হইচৈই ফেলে দেয়। টকশো করেন,নিবন্ধ লিখেন,মানববন্ধনে জড়ো হন। কিন্তু ওমর ফারুকের মর্মান্তিক হত্যা কান্ডের তাদের ইচ্ছাকৃত নীরবতা লক্ষ্যনীয়।
সাধারন মানুষের মনে তাদের ভূমিকার প্রশ্ন এবং সংশয় দেখা দিয়েছে।
পাবত্য চট্রগ্রামের ৩টি জেলা বান্দরবান, খাগড়া ছড়ি ও রাঙ্গামাটির ২৬টি উপজেলায় দূর্গম সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য। তাদের মাসিক চাঁদা না দিলে কেউ কোন ব্যবসা করতে পারেনা। এক গ্রুপ নয়,কয়েক গ্রুপকে বখরা দিতে হয়। তাদের হাতে মানুষ জিম্মি। সন্ত্রাসীরা সরকারের ভেতর আরেক সরকার প্রতিষ্টা করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদের ১নং ধারায় ক,খ,গ উপধারায় স্পর্শভাবে বলা আছে এ দেশে যে কেউ সেচ্ছায় ধর্মালম্বন,ধর্মচর্চা,ধর্মা নুশীলন,ধর্মপ্রচার,ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপন করতে পারবেন। এটা নাগরিকের মৌলিক অধি কারের অন্তভূক্ত। সংবিধানের ভাষ্যমতে যেকোন ধর্মপ্রচার বা সেচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করতে আইন গত কোন বাঁধা নেই।
শহীদ ওমর ফারুক হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে প্রায় অর্ধমাস পার হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবদি পর্যন্ত ফারুক হত্যাকান্ডের সহিত জড়িত কোন খুনী গ্রেফতার হয়নি। ফারুক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন,প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এতকিছুর পরেও ফারুক হত্যার একজন হত্যাকারীকেও গ্রেফতার করা হয়নি। প্রসাশনের নাকের ডগায় সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাদেরকে গ্রেফ তার করা হচ্ছেনা। ইতিমধ্যে শহীদ ওমর ফারুক এর পরিবারকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও পুলিশ প্রতিনিয়তই নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে পাবত্য এলাকার সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধের নিমিত্তে যৌথ অভিযান পরিচালনা পূর্বক ওমর ফারুক হত্যাকারীদের এবং এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ক্যাবামং মারমা, অপু চাকমা, নু ছো মং, নতুন মারমা, দেবেন্দ্র ত্রিপুরা, দানিয়েল ত্রিপুরা,সুফল ত্রিপুরা সহ অন্য সহযোগীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্থি নিশ্চিত করার জন্য পাবত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ উদাত্ত আহবান জানাচ্ছে।
… [Trackback]
[…] Find More on to that Topic: doinikdak.com/news/31671 […]
… [Trackback]
[…] Info on that Topic: doinikdak.com/news/31671 […]
… [Trackback]
[…] Find More on that Topic: doinikdak.com/news/31671 […]