ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
লকডাউনের প্রভাব পড়েনি ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লায়
স্টাফ রিপোটার, ঈদগাঁও

কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর গ্রাম্য দোকানগুলোতে লকডাউনের প্রভাব পড়েনি। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে বেচাকেনাসহ আড্ডা। তবে মহাসড়কে নেই যানবাহন। কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন।

ব্যস্ত মহাসড়ক ও ডিসি সড়কে নেই ভিড় বা যানজট। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করছে। কোভিড সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনের বিধি নিষেধ এবার ভিন্ন রকম কড়াকড়ি।

সে তুলনায় কঠোর লকডাউন তেমনিভাবে প্রভাব পড়েনি পাড়া মহল্লাতে। গ্রামের দোকানপাঠে সকাল/ সন্ধ্যা চলছে আড্ডা। মুখে মাস্কতো দূরের কথা, সামাজিক দুরত্ব নেই। গ্রামের মানুষরা এখনো অজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছে। বৃহত্তর ঈদগাঁওর জালালাবাদ,ইসলামাবাদ,ইসলামপুর,পোকখালী এবং ঈদগাঁও ইউনিয়নের গ্রামগঞ্চের চায়ের দোকানে অপ্রয়োজনীয় আড্ডা থেমে নেই। করোনা সংক্রমন রোধে পাড়া মহল্লায় সচেতন করে তোলা কিংবা আইন শৃংখলা বাহিনীর টহল অতীব জরুরী।

অপ্রয়োজনীয় ঘুরাফেরাসহ গ্রামের দোকানপাট বেশি ভাগ খোলা থাকে। করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি কি বুঝেনা তারা। তদারকি ও নজরদারির দাবী সচেতন মহলের।

জানা যায়, কঠোর লকডাউনে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাসস্টেশন কিংবা বাজার এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনীর ভয়ে না আসলেও ঠিকই গ্রামীন জনপদের দোকানপাঠে বসে অযথা আড্ডায় মেতে উঠছে লোকজন। গ্রাম্য দোকানপাঠ বন্ধসহ মানুষদেরকে ঘরমুখী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবীও তুলেছেন অনেকে।

তাওহীদ নামের এক ব্যাক্তির মতে, বাজার কেন্দ্রীক সরকার ঘোষিত লকডাউন পালিত হলেও গ্রামীন জন পদে এর প্রভাব তেমন পড়েনি।

শামশু নামের আরেক অসহায় ব্যাক্তি জানান, একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে টানা বৃষ্টিপাতে ঢলের পানিতে জবুথবু। তার উপর পরিবার পরিজন নিয়ে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছি।

ইউপি সদস্য বজলুর রশিদ জানান, পাড়া মহল্লায় তেমন প্রভাব পড়নি কঠোর লকডাউনের। প্রায় দোকানপাঠ খোলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x