ঢাকা, বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘ ১১দিন পর চোরাইকৃত টমটম খুটাখালী থেকে উদ্বার
স্টাফ রিপোটার, ঈদগাঁও

দীর্ঘ ১১দিন পর রামুর মোক্তারের চোরাইকৃত টমটম উদ্বার হলো খুটাখালী থেকে। এতে গাড়ী মালিক খুশিতে উৎফুল্ল হন।  এসময় সিন্ডিকেটের একজনকে সনাক্ত করে স্থানীয়রা ওয়ার্ড মেম্বারকে সোপর্দ করা হয়েছে।

২৭ জুন বিকেলে খুটাখালী ইউনিয়নের চড়িবিল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় চোরাই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এই সময় চুরির সাথে জড়িত মোহাম্মদ ওমর ফারুককে মুচলেকা নিয়ে ছাড় দেয়া হলেও তাঁর সিন্ডিকেটের প্রধান শুক্কুর পলাতক থাকায় অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

গাড়ি মালিক মোক্তার জানায়, ১৬ই জুন রামুর চৌমুহনি থেকে খুটাখালী যাওয়ার কথা বলে আবদু শুক্কুর ৩শ টাকায় রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে ঈদগাঁওর দিকে আসছিলেন।

পথিমধ্যে মেহেরঘোনা এলাকায় তার স্ত্রী রুবিকে বাপের বাড়ি থেকে তুলতে হবে বলে গাড়িটি দাঁড় করায়।

এসময় শুক্কুর সামনে তার স্ত্রী পুত্র এবং ব্যাগটি নিয়ে আসতে বলে মোক্তারকে। সরল বিশ্বাসে গাড়ির মালিক মোক্তার সামনের দিকে গিয়ে কাউকে না পেয়ে গাড়ির দিকে ফেরত আসেন। ততক্ষনে শুক্কুর গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়।

পরে তিনি মেহেরঘোনা এসে খোঁজ নিলে ঈদগাঁও ইউনিয়ন সেচ্চাসেবকলীগ সভাপতি  মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ঈদগাঁও ষ্টেশনে এসে ব্যাপক খোঁজ নেয়।

একপর্যায়ে মাহাবুব ঈদগাঁও ষ্টেশন আলাদীনের চেরাগের সিসি ক্যামরার সহায়তায় গাড়িটি ঈদ গড় দিকে নিয়ে যাওয়ার ফুটেজ সংগ্রহ করে।

১১দিনের প্রচেষ্টায় মোক্তার ঈদগড় গিয়ে খোঁজ নিলে গাড়িটি খুটাখালীতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর পায়।

পরে তিনি রামু ও চকরিয়া থানায় পৃথক অভি যোগ দায়ের করে। এতে খুটাখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। তবে গাড়ি খুটাখালীতে নিয়ে আসার বিষয়ে নিশ্চিত হন মালিক।

রবিবার বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়ির মালিক রামু পশ্চিম রাজার কুলের মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র মোকতার আহমদ খুটাখালী চড়িবিল এলাকার আবদু ছালামের পুত্র মুবিন মিয়া প্রকাশ ইউনুসের বাড়িতে গিয়ে গাড়িটি সনাক্ত করে।

এ সময় স্থানীয়রা চোরাই গাড়িটি উদ্ধার করেন এবং চোর নিশ্চিত হওয়ায় সন্ধ্যায় ওমর ফারুককে আটক করে ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোছনের নিকট সোর্পদ করে।

এসময় জিঙ্গাসাবাদে ওমর ফারুক গাড়িটি শুক্কুরের কাছ থেকে ক্রয় করে মুবিন মিয়া ওরফে ইউনুসকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন।

স্থানীয়রা জানায়, ধৃত যুবক পেশাদার চোর। মানুষের বসতবাড়িতে প্রতিনিয়ত চুরি সংঘটিত হচ্ছে। এরা আগেও ধরা পড়েছিল।

অভিযুক্ত মুবিন মিয়া ওরফে ইউনুস জানায়, আমি ৬০ হাজার টাকায় কর্জ, কিস্তি নিয়ে গাড়িটি কিনেছি। চোরা গাড়ি আমি জানতাম না বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

ইউপি মেম্বার জানায়, তারা পেশাদার চোর। ৭/৮ জনের একটি চোর সিন্ডিকেট আছে। তারা চুরির কথা স্বীকার করেছে। আটককৃত ফারুক বলেছে এদের সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে।

স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে গাড়িটি মালিককে বুঝিয়ে দিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

One response to “দীর্ঘ ১১দিন পর চোরাইকৃত টমটম খুটাখালী থেকে উদ্বার”

  1. … [Trackback]

    […] Find More here to that Topic: doinikdak.com/news/30015 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x