রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করনীয় বিষয়ে কাল শনিবার বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসবে রংপুরের করোনা কমিটি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্বাস্থ্য বিভাগসহ করোনা কমিটির সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিধি নিষেধ কঠোরভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
অপরদিকে বিভাগের ৬ জেলায় করোনা টিকা শেষ হয়েছে। রংপুর ও দিনাজপুরে হাতে গোনা কিছু টিকা রয়েছে। এদিকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করা প্রয়োজন মনে করছেন সুধি মহল। তাদের মতে প্রতিদিনই সীমান্ত এলাকা থেকে লোকজন যাওয়া আসা করছেন। এতে সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো।
রংপুর স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া না গেলেও প্রতিদিনই সংক্রমণের হার বাড়ছে। গত শুক্রবার বিভাগে গড় সংক্রমণের হার ছিল ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এর মধ্যে রংপুরে ২ জন , দিনাজপুরে ২ জন ও ঠাকুরগাওয়ে একজন। ২৪ ঘন্টায় ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ৩২, ঠাকুরগাওয়ে ১৮ এবং রংপুরে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪০৪ জনে।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রায় শেষের পথে। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম নীলফামারী, ঠাকুরগাও, পঞ্চগড় ও গাইবান্ধায় টিকা শেষ হয়েছে। সময়মত টিকা না এলে দুই লাখের বেশি মত মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা, আহাদ আলী জানান, সংক্রমণের হার দ্রুত কমাতে হলে সীমান্তে কড়াকড়ির বিকল্প নেই। সেই লক্ষে শনিবার জরুরি বৈঠকে বসবে করোনা কমিটি।
Leave a Reply