আজ ২ জুন বুধবার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাস-হল খুলে দেয়াসহ ৬ দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা ৷ এছাড়া অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধা দিলেও সেই বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে গোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে এসে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীরা প্রশাসন বরাবর মোট ৬ দফা দাবি পেশ করে। দাবিগুলো হলো :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে;
২. দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে হবে;
৩. সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সব বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে;
৪. সেশনজট এড়াতে কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে;
৫. অবিলম্বে সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে;
৬. ক্যাম্পাসে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। মার্কেট, শপিংমল, গণপরিবহন, গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি সব কিছু চলছে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তা মেনে নেয়া যায় না। আজ লাখো শিক্ষার্থী বইবিমুখ হয়ে সমদের অভাবে ক্যারিয়ার ধ্বংসের পথে। আমরা আমদের ভবিষ্যত নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত, হতাশাগ্রস্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার কোন নাম গন্ধ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা সহো নীতিমালা প্রনয়ণ করেছেন। সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তবেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আগামী ৩ জুন আমাদের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতিদের সঙ্গে মিটিং রয়েছে। সেখানে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিকল্পনা করা হবে এবং আশা করছি পজিটিভ ভালো খবর আসবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৬ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল সিনেট ভবনের সামনে ধারাবাহিক ভাবে সকাল ১০ টায় অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।