ভৈরব বাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের ২ মাসের মধ্যেই ২৬ মাদক কারবারিকে মাদকসহ গ্রেফতার করেছে ইনচার্জ শ্যামল মিয়ার নেতৃত্বে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা। বিগত দিনে শহর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকান্ডে ক্ষোব্দ ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। মাদক , জুয়া, চুরি ছিনতাই দমনে শ্যামল মিয়ার কর্ম দক্ষতায় দিন দিন আস্থা বাড়ছে ভৈরব বাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির প্রতি ভৈরব বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্ধসহ স্থানিয়দের।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্যামল মিয়ার নেতৃত্বে (এপ্রিল-মে) গত দুই মাসে ২৩টি মাদক মামলায় ২৬জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামীদের নিজ হেফাজতে রাখা ৪৭ কেজি ৯’শ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৪ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও ৫জন পেশাদার চোর ও ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ভৈরব বাজারে ব্যাপক হারে মাদক, জুয়া, চুরি-ছিনতাই বেড়ে গিয়েছিল বিগদ দিনগুলোতে। যার ফলে শহর পুলিশ ফাঁড়ির প্রতি দিন দিন আস্থা হারাচ্ছিল মানুষ। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে দিনরাত নিরলশ চেষ্টা করে মাদক ও চুরি ছনতাই অতীতের তুলনায় অনেকটাই কমিয়ে আনতে পেরেছে গত ২ মাসে ইন্সপেক্টর শ্যামল মিয়া। শহর ফাড়ির পুলিশের কর্মকান্ডে খুশি স্থানিয় লোকজন। কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছেন ইন্সপেক্টর শ্যামল মিয়া। চলতি বছরের ২৮ মার্চ পুলিশ পরিদর্শক (নি:) মো: শ্যামল মিয়া ভৈরব শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজুয়ান দিপু ও ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহিন।
এবিষয়ে ভৈরব শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: শ্যামল মিয়া বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভৈরব বাজারের ব্যবসায়ীসহ দূরদুরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্ত্বার সার্থে চুরি, ছিনতাই, পকেটমার, মাদক ও জুয়া রোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের তৎপরতায় রমজান মাসেও ফাঁড়ি এলাকায় অপরাধ মূলক কোন ঘটনা ঘটেনি। মানুষের নিরাপত্তা দিতে এবং পুলিশ বাহিনীর সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে আমার চেষ্টা সর্বদা অব্যাহত থাকবে।