ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
ঈদগাঁও নদীর অধিকৃত অংশের দখল উচ্ছেদ : টাঙ্গিয়ে দিল লাল পতাকা
Reporter Name

স্টাফ রিপোটার,ঈদগাঁও: ঈদগাঁও নদীর তীর দখল করে নির্মাণাধীন ভবণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড।

৬ই মে দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নু এ মং মারমা মংয়ের নেতৃত্বে শিক্ষক সিরাজুল হকের অধিকৃত নদীর অংশ দখল উচ্ছেদ করে উক্ত স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন।

বিগত ২রা মে “দখল হচ্ছে ঈদগাঁও নদীর বেড়ি বাঁধ,ঝুঁকির মুখে ঈদগাহ হাই স্কুল “‘ শীর্ষক সংবাদটি ব্যাপকভাবে চাউর হয়।

পরে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সদর উপজেলা প্রশাসন ঈদগাঁও নদীর অধিকৃত অংশ উচ্ছেদ করেন এবং ভবিষ্যতে এই রকম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সতর্ক  করেন।

উল্লেখ্য যে, ঈদগাঁও নদীর উত্তরপাড়ের বেড়িবাঁধ দখল করে বহুতল ভবণ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঈদগাঁও নদীর বেড়ি বাঁধ থেকে  জলভাগের অভ্যন্তরের অন্তত ৫ফুট জায়গা দখল করে ওই ব্যক্তি নিজ বাড়ীর সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্র মতে, ঈদগাঁও নদীর( উত্তরপাড়) ঈদগাহ হাই স্কুল পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বেড়িবাঁধের উপর থেকে নদীর জলভাগের অভ্যন্তরে ৪-৫ ফুট পর্যন্ত নদী দখল করে পাইলিংয়ের কাজ চলছে।

অভিযুক্ত ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সিরাজুল হক বলেন, বন্যা থেকে তার বসতবাড়ি রক্ষার জন্য তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করছেন।

জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ার ম্যান ফরিদুল আলম জানান,ঈদগাহ হাই স্কুলকে ক্রমাগত নদীভাঙ্গনে  বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করতে ২০০৭ সালে  আমার উদ্যোগে এবং এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হকের সার্বিক সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ৭৪ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে ব্লক বসিয়ে প্রায় ৫শ ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মাণ করে। সেখানে এই বেড়ি বাঁধ দখল চরম লজ্জার এবং নীতিহীনতার পরি চয় বলে তিনি ধিক্কার জানান।

বাংলাদেশ পানি  আইন ২০১৩, ২১ এর (১) ধারায় বলা হয়েছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্থায়িত্ব রক্ষার স্বার্থে উহার উপর বা উহার পার্শ্বঢালে কোন ব্যক্তি, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত, কোন প্রকার ঘরবাড়ি, স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণ করিতে পারিবেন না।

এই ধারা লংঘনে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং দশ হাজারে টাকার জরিমানা আদায়ের দণ্ড থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দিন দিন এই নদী খালগুলি দূর্বৃত্তের দখল ও দূষণের শিকার হয়ে অস্তিত্বসংকটের মুখে পড়ছে ক্রমাগত।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ দখল করে সীমানপ্রাচীর নির্মাণ বিষয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার বলেন,

বেড়িবাঁধ দখলের এখতিয়ার কারো নেই এবং পানি বোর্ড বেড়িবাঁধের কোন অংশ কাউকে ব্যবহার বা দখলের অনুমতি দেয়নি বা দিতে পারেনা। তিনি ঈদগাহ নদীর বেড়িবাঁধ দখল রোধে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন বলে জানান।

ঐতিহ্যবাহী স্কুলের একজন শিক্ষকের প্রকৃতি ও দেশবিরোধী এবং নীতি মূল্যবোধহীন কর্মকাণ্ডে ইতোমধ্যেই সর্বত্র নিন্দা ও সমালোচনা ঝড় বইছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x