এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁওঃ পোল্টি খামার করেই সফলতায় এগুচ্ছেন কক্স বাজার সদরের পোকখালীর মোজাহের আহমদ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, পোকখালীর সিকদার পোল্টি ফার্মটি মোজাহের আহমদ বিগত ৫/৬ বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। কিন্তু এটি পরিচালনা করেন তার পূত্র মুজিব। পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন শুধু এগিয়ে চলেছেন সামনের দিকে। ৩রা মে ফার্ম পরিদর্শনে গেলে এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে।
মোজাহের আহমদ জানান, ছেলে বিদেশ থেকে এসে এলাকার অন্যান্য পোল্টি খামারের দেখাদেখিতে তিনিও আগ্রহী হয়ে উঠেন খামার করার লক্ষে। সে স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে সফলতার হাতছানী দেখছেন অবশেষে। তারই নিজস্ব জমিতে গড়ে তোলেন তিনটি বৃহৎ খামার। প্রায় দশ হাজারের মত মুরগী রয়েছে। দৈনিক চার হাজারের মত ডিমও দেয়।
পোকখালী-গোমাতলী সড়কের রাস্তার পাশে ধানী জমিতে মুজিব গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের এই মুরগীর খামার। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা বটে। সফল ভাবে এগুচ্ছেন তিনি। এ খামারটি সাজানো গোছানো ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
খামারের কাজে নিয়োজিত বোরহান জানান, মুরগীর খাদ্যর দাম বৃদ্বি। ডিমের দাম কম। খামারীরা বর্তমান সময়ে একটু লোকসানে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানান, এই পোল্টি ফার্মের ডিম বৃহত্তর ঈদগাঁওসহ চট্রগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এজেন্টদার ও ক্রেতারা নিয়ে যায়। ফার্মে রয়েছেন ৬ জন কর্মচারী। তারা দিনরাত নিরবিচ্ছিন্ন খামারে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। যার কারনে সিকদার পোল্টি ফার্মটি সফলতায় এগুচ্ছেন।
সিকদার পোল্টি ফার্মের পরিচালক মুজিব জানান, পোল্ট্রি খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার ছেলে খামার করে স্বাবলম্বি হতে পারে চাইলে। এলাকার অবহেলিত যুবক বা তরুন সমাজ গরু, ছাগল, হাঁস, গবাদি পশু পালন করে নিজেও পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। জীবনকে পাল্টিয়ে দিতে পারে অনায়াসে।
রাজনীতিবীদ ও সিকদার পোল্টি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মোজাহের আহমদ জানান, চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে ও আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। ভাগ্যে বদলানো যেতে পারে।