আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক, সাবেক ছাত্রলীগনেতা এহতেশামুল হক শাহীন’র খুনিদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে ২ মে রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে নিহত শাহীনের বন্ধুমহলের উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা মাসুম রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুকুল রহমান, ছয়ফুল হক সেতু, রাসেল আহমদ, জামান মিয়া, মুনিম খালেক, নুরুজ্জামান সোহেল, সাহেল আহমদ, জামিল আহমদ, রোমেল আহমদ, শামীম আহমদ, আব্দুল মালিক, সবুজ মোহাম্মদ সুমন, আবেদ রাসেদ, মামুন আহমদ, ফয়েজ আহমদ, দিপু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা শাহীনের খুনী ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকল সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে।তারা বলেন,শাহীন হত্যাকান্ডে আমরা খুবই মর্মাহত ও ব্যথিত।আমরা স্তম্ভিত। সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত পৈশাসিক কায়দায় শাহীনকে খুন করে। এসকল সন্ত্রাসী ও খুনীদের ছাড় দেয়া যায় না।সভায় বক্তারা এ নারকীয় হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে সকল খুনীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য,২২ মার্চ রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিফর গ্রামের সড়কে দুর্বৃত্তরা লরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল হকের ছেলে ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা এহতেশামুল হক শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে পালিয়ে যায়। নিহত শাহীন ওই রাতে ঢাকা থেকে জরুরী কাজ শেষ করে সিলেট থেকে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
গ্রামে আসামাত্র কয়েজন সন্ত্রাসী কলাগাছ ফেলে রাস্তার গতিরোধ করে। এসময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ড্রাইভার ও পরিবারের সহযোগিতায় তাকে দ্রæত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।