ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তলন, হুমকির মুখে বসতবাড়ি ও স্থাপনা
Reporter Name
লৌহজং নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তলন, হুমকির মুখে বসতবাড়ি ও স্থাপনা।

মোঃ শরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: লৌহজং নদীর টাঙ্গাইলের কালিহাতীর অংশে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় থেকে মহেলা পর্যন্ত প্রভাবশালী কতিপয় নেতারা বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দাপটের সহিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ী, স্থাপনা ও ঈদগাহ্ মাঠ। ড্রেজার মালিকদের দৌরাত্বে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় হতাশাগ্রস্থ ভূক্তভোগীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকার বেলটিয়া ৩টি, বিনোদ লুহুরিয়ায় ৪টি, যোকারচরে ৪টি,  মগড়া ঈদগাহ্ মাঠ সংলগ্ন ৩টি, হাতিয়ায় ১টি, ধলাটেঙ্গরে ৮টি, বাঁশীতে ১টি, মহেলায় ২টিসহ মোট ২৬টি বাংলা ড্রেজার দিয়ে লৌহজং নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। এতে একদিকে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে স্বল্প সময়ে বিত্তবান হচ্ছেন, অপরদিকে নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ী, ঈদগাহ্ মাঠ, বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। এহেন বাংলা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যায় বাড়িঘর ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযান চললেও পরক্ষণেই আবার ভেসে উঠে একই চিত্র।

মগড়ার নদী তীরবর্তী সোমেস প্রমাণিক বলেন, মগড়া ঈদগাহ্ মাঠ সংলগ্ন নদীতে বছরের পর বছর বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ৩০ শতাংশ বসতবাড়ির মধ্যে ২৭ শতাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই ওই ড্রেজার মালিক শফিক মিয়া আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমরা গরীব মানুষ প্রশাসনের নিকট এর বিচার চাই।

একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী গ্রুপ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে দিন-রাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।

বাঁশী এলাকার মাজেদুর ও শফিকুল এলেঙ্গা বাজার ব্রীজ সংলগ্ন নদী থেকে অকশনের বালুর নাম নিয়ে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে হুমকীর মুখে রয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদীর উপর সেতুটি। এছাড়া, মহেলা এলাকায় শাহাদাৎ হোসেন, জমির নেতা, হাফিজুর,  তোফাজ্জল হোসেন, ধলাটেঙ্গরে মুক্তার হোসেন, মালেক সিকদার, মাঈন সহ আরো অনেকেরই উঠে এসেছে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলকারী হিসেবে।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা তানজিন অন্তরা মুঠোফোনে বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের প্রশাসনের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আমরা প্রায়ই কালিহাতীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে আসছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

3 responses to “ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তলন, হুমকির মুখে বসতবাড়ি ও স্থাপনা”

  1. … [Trackback]

    […] Read More on to that Topic: doinikdak.com/news/12069 […]

  2. RNS-MO-nor says:

    Разрешение на строительство — это административный запись, предоставленный управомоченными инстанциями государственного аппарата или муниципального управления, который предоставляет начать строительную деятельность или осуществление строительных операций.
    Разрешение на строительство задает правовые принципы и требования к строительным работам, включая разрешенные разновидности работ, приемлемые материалы и подходы, а также включает строительные нормативные акты и комплексы безопасности. Получение разрешения на строительство является необходимым документов для строительной сферы.

  3. … [Trackback]

    […] Read More on on that Topic: doinikdak.com/news/12069 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x