ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
রানপ্রসবা সিরিজে ইংল্যান্ডকে আটকে শেষ হাসি কোহলির
Reporter Name

স্যাম কারেনের মহাকাব্যিক অপরাজিত ৯৫-কে হারের খাতায় ঠেলে জস বাটলারের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে তিন ওয়ানডের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে ঘরে রেখে দিলো বিরাট কোহলির ভারত। রোববার তারা টানা তৃতীয় ম্যাচে তিনশ পেরোনো সংগ্রহ গড়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে।

প্রথম ওয়ানডেতে তিনশ পেরোনো ভারতের সাথে পাল্লা দিতে পারেনি ইংল্যান্ড, কোহলির দল জয় তোলে ৬৬ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটি সুদ-আসলে পুষিয়ে দেয় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৩৩৬ রান ২৭ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় ইংলিশরা। শেষ ম্যাচেও তিনশ পেরোয় ভারত, সম্ভাবনা জাগিয়ে তিনশ পেরিয়ে সেটি অল্পের জন্য ছুঁতে পারেনি ইংল্যান্ড।

পুনেতে রোববার তৃতীয় ওয়ানডেতে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ১০ বল হাতে রেখে ৩২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে ৩২২ পর্যন্ত যায় ইংল্যান্ড।

রোহিত শর্মাকে নিয়ে (৩৭ বলে ৩৭) ১৪.৪ ওভারে ১০৩ রানের জুটি গড়ে উদ্বোধনীতে ভারতকে ভালো শুরু দেন শেখর ধাওয়ান। কিন্তু ১৮ রানের মধ্যে রোহিত, কোহলি ১০ বলে ৭, ধাওয়ান ৫৬ বলে ৬৭ রানে দ্রুত ফিরে গেলে ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা।

ধীরগতির লোকেশ রাহুল ১৮ বলে ৭ রানে সাজঘরে হাঁটা দিলেও রানের চাকা তখন সচল রেখে এগোনো রিশভ পান্ট সাজঘর রাখেন নির্ভার। দারুণ এক ফিফটি তুলে ৬২ বলে ৭৮ করে যান, ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংস সাজিয়ে।

পরেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ভারত। কিন্তু রানের চাকা থমকে যেতে দেয়নি। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় হার্দিক পান্ডিয়া ৪৪ বলে ৬৪, ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩৪ বলে ২৫, শার্দূল ঠাকুর ২১ বলে ৩০ করে সংগ্রহ চ্যালেঞ্জিং জায়গায় নেন।

মার্ক উড ৩টি, আদিল রশিদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট কারেন, টপলে, স্টোকস, মঈন ও লিভিংস্টোনের।

জবাব দিতে নেমে জেসন রয় ১৪, জনি বেয়ারস্টো ১, বেন স্টোকস ৩৫, জন বাটলার ১৫, লিয়াম লিভিংস্টোন ৩৬, মঈন আলি ২৯ রানের ইনিংসগুলো বড় করতে পারেননি।

মাঝে ঠিক ৫০ রানের ইনিংস খেলে যান ডেভিড মালান। ১৬৮ রানে একসময় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসা ইংল্যান্ডের আশার পালে হাওয়া দিতে থাকেন স্যাম কারেন। রশিদকে (১৯) নিয়ে ৫৭ ও মার্ক উডকে (১৪) নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ প্রায় ছিনিয়েই নিচ্ছিলেন।

শেষ দুই ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৯ রানের। ৪৯তম ওভারে হার্দিক দেন ৫ রান। ওই ওভারে মার্ক উডের ক্যাচ ফেলেন শার্দূল, কারেনের ক্যাচ ফেলেন নটরাজন, দুটি সুযোগই হাতছাড়া হয় পরপর দু-বলে।

ইংলিশদের শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৪ রান। বল ওঠে নটরাজনের হাতে। কারেন প্রথম বলে দ্বিতীয় রান নিতে চেষ্টাই করেননি, নন-স্ট্রাইক প্রান্তে যেয়ে পিছলে পড়েন। কিন্তু উড ততক্ষণে মাঝ ক্রিজ থেকে ফিরতে যেয়ে হন রানআউট।

দ্বিতীয় বলে নতুন ব্যাটসম্যান টপলে এক রান নিয়ে কারেনকে দেন স্ট্রাইক। তৃতীয় বলে কারেন এক রান নিতে পারতেন, কিন্তু স্ট্রাইকপ্রান্তে থাকা নিশ্চিত করতে যেয়ে কোনো রান নেননি। চতুর্থ বলে একই ফল। তাতে শেষ ২ বলে ২টি ছয় দরকার পড়ে ইংল্যান্ডের। পঞ্চম বলে চার মেরে দেন কারেন। নো বল বা ওয়াইড না হলে ম্যাচ তখনই শেষ! শেষ বলে কারেন কেবল ১ রান নেয়ার সুযোগ গড়তে পেরেছেন।

শেষপর্যন্ত ৮৩ বলে ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন কারেন। ৯ চার ৩ ছয়ে সাজানো ইনিংস তার।

শার্দূল ঠাকুর ৪ উইকেট নিয়ে সেরা। ৩টি উইকেট নিয়েছেন অভিজ্ঞ ভূবনেশ্বর কুমার। টি নটরাজন ১ উইকেট নিতে ১০ ওভারে ৭৩ রান খরচ করলেও শেষের ওই ওভারের জন্য নায়ক বনে গেছেন! নিউজ সোর্সঃ রানপ্রসবা সিরিজে ইংল্যান্ডকে আটকে শেষ হাসি কোহলির

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x