ঢাকা, মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
রংপুরে অজ্ঞান পার্টির ৩ জন গ্রেফতার
Reporter Name

হীমেল মিত্র অপু, স্টাফ রিপোর্টার: রংপুর জেলার মিঠাপুকুরে বিশেষ অভিযানে ২ টি অটো, ১ টি মোটর সাইকেল,৭ টি মোবাইল ফোন ও ৫০ হাজার নগদ হাজার টাকা উদ্ধারসহ অজ্ঞান পার্টির ৩ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) গতকাল সন্ধ্যায় ভাংনী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো : রংপুরের মিঠাপুকুর থানার ৬ নং কাফ্রিখালের কিশামত জালাল গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে মো:নুর আলম তারেক সাগর রানা (৩৮),পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার কিসমত শ্রীনগর গ্রামের রশিদ বেপারীর কন্যা মোছাঃ সাথী আক্তার সুমাইয়া (১৮) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার শাকবুনিয়া গ্রামের মোঃ স্বপন জমারদারের কন্যা মোছাঃ সাথী আক্তার সুমি (২০)।

পুলিশ সূত্রমতে, গত ১২ মার্চ রংপুরের পীরগঞ্জের পদ্মহার এলাকার মৃত মফেজ উদ্দিনের ছেলে ড্রাইভার আঃ রাজ্জাক (৪০)মিঠাপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে গত ৮ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে তার অটো নিয়ে চতরা বাজারে আসে এবং যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় ৪ জন যাত্রী এসে দিনাজপুর যাবে বলে তার অটো ভাড়া নেয়। এরপর তারা নবাবগঞ্জ গিয়ে একটা হোটেল এ গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে। সেখান থেকে ভেন্ডাবাড়ী এসে তারা সবাই মিলে জুস খায় এবং কৌশলে ড্রাইভারকে জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। ড্রাইভার অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মিঠাপুকুর থানাধীন রানীপুকুর এলাকায় ফেলে দিয়ে তার অটো নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ড্রাইভারকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ কাল বিলম্ব না করে তদন্তে নেমে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যায় ভাংনী এলাকা থেকে খবর আসে যে জুস খাওয়ায়ে অটো ছিনতায়ের চেষ্টাকালে দুই জন মহিলাকে ধরেছে জনতা।

মিঠাপুকুর থানা পুলিশ কাল বিলম্ব না করে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং দুই জনকে হেফাজতে নেয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দলের মুল হোতা নুর আলম কে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্য মতে তাদের হেফাজত হতে ১ টি অটো,১ টি অটো রিকশা,১ টি মোটর সাইকেল, চোরাই ০৭ টি মোবাইল, ৫০ হাজার টাকা,চোরাই কাজে ব্যবহৃত ০৪ টি রেঞ্জ, ১ টি পাইপ রেঞ্জ ও ২ টি স্টার রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়,তাদের এই গ্রুপের মূল হোতা হচ্ছে নুর আলম। তারা প্রথমে যাত্রী বেশে অটো, অটো রিকশা বা মোটর সাইকেল ভাড়া করে। তারপর ড্রাইভারের সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এরপর ড্রাইভার অচেতন হয়ে গেলে সুবিধামত জায়গায় থাকে ফেলে দিয়ে ড্রাইভার এর অটো, মোটর সাইকেল ও অটো রিকশা, মোবাইল, টাকাসহ মুল্যবান সামগ্রী নিয়ে চলে যায়। এরপর উক্ত জিনিসপত্র তারা মোঃ হাসানুজ্জামান হানিফ কালু (২৮) এর কাছে হস্তান্তর করে। এরপর হানিফ অটোর রং পরিবর্তন করে বিক্রি করতো এবং তার গ্রুপের সদস্যদের তাদের পাওনা দিয়ে দিত। তারা প্রায় ৪ মাস ধরে এ পর্যন্ত ১৫/১৬ টি মতো কাজ করেছে।

পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

x