আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: গত ২ দিনে সিলেটে প্রচন্ড গরমে রোজাদারদের চরম দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। সূর্যের তাপে মনে হয় আরবের মরুভূমিতে পরিনত হবে। এ গরমের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এদিকে জানা যায়,বিগত ৭ বছর পর সিলেট টানা তীব্র আবহাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃষ্টির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় কারণে এই তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হওয়ায় সিলেটের শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অনুভূত হয়েছে।
সিলেটে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানান সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ।
এর আগে ২০১৪ সালে এপ্রিল মাসে টানা দাবদাহের কবলে পরে সিলেটসহ সারাদেশে। সে বছর ২৪ এপ্রিল সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। এরপর গত বছর এপ্রিল মাসে মাত্র ১ দিন সর্ব্বোচ তাপমাত্র ৩৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শুধু সিলেট নয়, দেশের প্রায় সবখানেই রোদের তীব্রতা বেড়েছে ফলে গরম বাড়ছে। ২৫ এপ্রিল সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৬/২৭ এপ্রিল তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান সিলেটের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেটে গড় বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। বছরের এই প্রাক বর্ষাকালীন সময়টায় অর্থাৎ মার্চ এপ্রিল মাসে যেখানে ৩৭৫. ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা সেখানে এবছরের মার্চ মাসে মাত্র ১১৪ মিলিমিটার ও এপ্রিল মাসে মাত্র ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা খুবই কম। এমাসের শেষের দিকে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা পরিমাণে খুবই কম হতে পারে। এর প্রভাব তাপমাত্রায় খুব বেশি একটা পড়বে না বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। তবে মে মাসের শুরু দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার ঈঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মে মাসের শুরু দিকে সিলেটসহ দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে গরমের তীব্রতা