সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় যে কয়টি পেশার মানুষ সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে নার্সরা অন্যতম। হাসপাতালগুলোতে সেবাদানের ক্ষেত্রে নার্সরা একটি অবিচ্ছেদ্য ও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসেই নার্সদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধিদপ্তরকে ব্যাপকভাবে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় নার্সরা বিশ্ব দরবারে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত যতবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে ততবারই নার্সদের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছে। এমনকি ১৯৭৭ সালে গঠিত সেবা পরিদপ্তরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক নির্দেশনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সেবা পরিদপ্তরকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে উন্নীত করেছেন। সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে নার্সদের ঘাটতি পূরণের জন্য এই সরকারের আমলেই ২৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে নার্সদের নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হয়। ইতিমধ্যে আরও ৮ হাজার ২৮০ জন নার্স নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অবস্থা যখন নাজুক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক-নির্দেশনায় সকল বাধা জয় করে করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। নার্সগণ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নির্ভীক সৈনিক হিসেবে নিজের সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন।
করোনার ভয়াল পরিস্থিতিতে সবাই যখন সামাজিক দূরত্ব আর নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত, তখন জীবনবাজি রেখে রোগীদের সেবায় নিজেদের সর্বস্ব নিয়োগ করেছেন নার্সরা। করোনা রোগীদের সেবার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন পাটওয়ারী ইত্তেফাককে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নির্দেশে আমরা করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে যখন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন তখন থেকে নার্সরা মনোবল ধরে রেখে রোগীদের সেবা করে যাচ্ছেন। তখন ভয়ের কারণে স্বজনরা রোগীর কাছে থাকত না, ঐ সময় নার্সরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রোগীর সেবা করেছেন। কোনো রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হননি।’
Good post. I learn something new and challenging on websites I stumbleupon on a daily
basis. It’s always useful to read content from other authors and practice something from
other web sites.
Ahaa, its pleasant dialogue on the topic of this article at this place at this website, I have
read all that, so now me also commenting at this place.