ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
বান্দরবানে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে মো:ছৈয়দুর রহমানের মালিকানা জায়গার বাগানের গাছ কেটে অবৈধ ভাবে দখল করার পায়তারা
"আশিকুজ্জামান খান"
(ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব) বান্দরবান সদর উপজেলার সহজ-সরল অসহায় মোঃ ছৈয়দুর রহমান(৩৬), পিতা-আমিনুর রহমান, সাং-২নং ওয়ার্ড ২নং কুহালং ইউনিয়ন বান্দরবান সদর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। ৩২৪নং চেমী মৌজার ২৯৮নং হোল্ডিংভূক্ত ৪একর ৩য় শ্রেণীর জমিতে বাগানের গাছ বড় হয়ে বিক্রয় উপযোগী হওয়ায় লোভের বসবর্তী হয়ে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন পার্টির নাম ভাংগিয়ে ১-এম.জাহাঙ্গীর,২- কুহালং ইউপির গুংগুরু এলাকার ম্র্যাচা খেয়াং(৪৪) পিতা-চাইংথোয়াই খেয়াং, ৩-অংশে প্রু(২৫), ৪-লামা প্রু(২৮) উভয়সাং-২নং ওর্য়াড, ২নং কুহালং ইউপি,বান্দরবান সদর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। ৫-শাহ আলম(৩২) পিতা-শামশুল ইসলাম,৬-আলী(২৮) পিতা-মো: আলী বার্মা,৭-ইকবাল ড্রাইভার(৩২)পিতা আমজাত আলী, ৮-রুবেল পিতা-মৃত:শফি আলম,৯-মান্নান (২৮)পিতা-আব্দুল মালেক, সর্বসাং-নাপিত পুকুরিয়া,৯নং ওয়ার্ড ১০নং পদুয়া ইউপি,উপজেলা রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম। অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ ক্ষমতাসীন পার্টির ক্ষমতাসীন নেতার নাম ব্যবহার করে সহজ-সরল আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল অসহায় মোঃ ছৈয়দুর রহমান ও তার পিতা এবং পিতামহর মালিকানাধীন জায়গায় নিজেদের সৃজনকৃত গাছ বাগান অবৈধ ভাবে গাছ কেটে গাছ ও জায়গা দখল করার পায়তারা অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। ভোক্তভোগী মোঃ ছৈয়দুর রহমান  প্রতিবেদককে অভিযোগে জানান, অভিযোক্ত ব্যক্তিদের স্বত্ত¡:স্বার্থ দখল  ও মালিকানা কিছু না থাকাসত্তেও ১নং, ২নং, ৩নং, ৪নং  নেতৃত্বে ৫নং ও ৯নং ব্যাক্তি সহ অজ্ঞাত অপরাপর লোকজন লেবার/মজুর নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ৩১আগষ্ট আমাদের বাগানে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ১০১ সেগুন গাছ  কেটে নিয়ে যায়,যার বাজার মুল্য ৪২লক্ষ ৪০হাজার টাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এই ঘটনায় আমার পিতা ২রা সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল আদালতে উপস্থিত হয়ে  ২-৯ নং ২য় পক্ষের অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন,মামলা নং-১০৪/২০২১,  মামলার খবর পেয়ে ২য় পক্ষগণ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ বাগান ও জায়গা জবর দখলের চেষ্টায়  ৪সেপ্টেম্বর আবার বাগান দখল নেয়ার -চেষ্টা করে ১মপক্ষের বাধার মুখে ২য় পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে, ১ম পক্ষ আরো বলেন, আমার পিতা ও পিতা মহকে কাপ্তাই বাঁধের  ক্ষতিগ্রস্থ উধবাস্ত হিসেবে সরকার অত্রএলায় এই জায়গায় পূর্ণবাসন করেন। জোত ভূমির বিষয়ে আমাদের পক্ষে সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর সরজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন, স্ক্যাচ ম্যাপ,চেমী মৌজার হেডম্যান রির্পোট রয়েছ। আমি ও আমার পিতা এই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বাগান করে বাগানের সংরক্ষণ করে আসছি, এই জায়গার মালিকানা কাগজ রয়েছে আমাদের নামে, আমি নিয়মিতি সরকারী খাজনা, হোল্ডিং টেক্স পরিশোধ করে আসছি, দুষ্কৃতকারীরা হঠাৎ করে এসে আমাদের বাগান উপর এই ভাবে অত্যচার করছে, এটা আমরা কোন দেশে বসবাস করছি ?, আমি এই ব্যাপারে দুষ্কৃতকারীদের কার্যক্রমে বাধাঁ প্রদান কিংবা প্রতিবাদ করিলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ বাধিবার পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে, যার ফলে যে কোন সময় এলাকায় নৈরাজ্যকর পরিস্থতি সৃষ্টি হতে পারে, হতা-হতের ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে।
এমতাবস্থায় তদন্তক্রমে বিবাদীদের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে আধুনিক বান্দরবানের রূপকার পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়, বান্দরবানের আইন ও বিচার বিভাগ, প্রশাসন বিভাগ, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, মানবাধিকার কমিশন, সুশিল সমাজের নাগরিকগণ, উচ্চ পদস্থ নেত্রীবৃন্দ‘সহ সকলের নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এর ফলে দেশে আইনের সু-শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। মানুষ আইনের প্রতি আরো বেশী শ্রদ্ধাশী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x