ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
স্বল্পপরিচিত এক তালেবান নেতা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক
FILE PHOTO: Taliban delegates speak during talks between the Afghan government and Taliban insurgents in Doha, Qatar September 12, 2020. REUTERS/Ibraheem al Omari/File Photo

তুলনামূলক স্বল্পপরিচিত এক তালেবান নেতা আফগানিস্তানের সম্ভাব্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। সূত্রের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

তালেবানের এই নেতার নাম মোল্লা হাসান আখুন্দ। তাঁকে তালেবানের একজন গড়পড়তা নেতা হিসেবে দেখা হয়। তবে জাতিসংঘের সন্ত্রাসীর তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের কাছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হয়। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা ফের তালেবানের হাতে যায়। স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট রাতে কাবুল ছাড়ে শেষ মার্কিন সেনা। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।

কাবুল দখলের পর তালেবান বলেছিল, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ত্যাগের পর তারা সরকার গঠন করবে। ক্ষমতা দখলের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তালেবান এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো সরকার গঠন করতে পারেনি।

তালেবানের ভেতরে বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে। এসব গোষ্ঠীর মধ্যকার মতভেদের কারণে নতুন সরকার গঠনে বিলম্ব হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনে বিলম্বের মূলে রয়েছে তালেবানের মধ্যকার তিনটি গোষ্ঠীর মতভেদ। এগুলো হলো তালেবানের দোহা ইউনিট, হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও কান্দাহারভিত্তিক গোষ্ঠী।

এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সে অনুযায়ী নতুন কাঠামোয় তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ‘সর্বোচ্চ নেতা’ হতে পারেন। তাঁর ডেপুটি হতে পারেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার ও মোল্লা ইয়াকুব।

মোল্লা হাসান আখুন্দ হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তালেবানের আগের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। হাক্কানি নেটওয়ার্কের সিরাজ হাক্কানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হতে পারেন।

তালেবান একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাদের সম্ভাব্য সরকারে সেই প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

কাবুল দখলের পর সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ তালেবানের সঙ্গে সরকার গঠন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তালেবানের নতুন সরকারে এই দুজনের কোনো ভূমিকা না-ও থাকতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এদিকে, আফগানিস্তানের পানশির উপত্যকা দখল নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। তালেবান সেখানে তাদের পতাকা উড়িয়েছে। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ৩৩টি প্রদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। একমাত্র পানশির প্রদেশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এখন সেটির নিয়ন্ত্রণও তালেবানের হাতে গেল বলে জানায় বিবিসি। তবে উপত্যকায় তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (এনআরএফ)।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x