আজ সোমবার (৬ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের ক্লিয়ারেন্স পেলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এসময় তিনি বলেন, ‘১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের যারা আছেন তাদেরকেও টিকা দেয়া হবে কিন্তু একটি শর্ত রয়েছে। আর সেটা হলো, ডব্লিউএইচও এর অনুমোদনটি আমাদের পেতে হবে। একই সাথে আমাদের কারিগরি কমিটির অনুমোদনটাও পেতে হবে। এগুলোর অপেক্ষাতেই আমরা আছি। শুধু তাই নয়, এই বয়সের যারা আছেন, তাদের সংখ্যাও কিন্তু অনেক। সুতরাং সেই সংখ্যক টিকাও আমাদের হাতে থাকতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।
এর আগে, আপাতত ১৮ বছরের নিচে কাউকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে না বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর কারণ হিসেবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে এনেছেন তারা।
প্রথমত, বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের তালিকায় বয়স্করা থাকলেও তাদের টিকা এখনও নিশ্চিত হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কোথাও ১৮ বছরের নিচে কাউকে টিকা দেয়া হয়নি। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৮ বছরের নিচে শুধু ফাইজারের টিকা দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে। ফাইজারের টিকা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আছে মাত্র ১০ লাখ। আর এই টিকার জন্য কোল্ড চেইন মেনটেইন করতে হয়। সেক্ষেত্রে এই টিকা দেয়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানানো হয়।