ঢাকা, রবিবার ১২ মে ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
আত্রাইয়ে নিষিদ্ধ রিং জাল দিয়ে অবাধে মৎস্য নিধন
আত্রাই (নওগাঁ) সংবাদদাতা :

নওগাঁর আত্রাইয়ে নিষিদ্ধ রিংজাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসিনতার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন খাল-বিলেও পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছের বিচরণও বেড়েছে। এ সুযোগে স্থানীয় মৎস্য কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক নীরবতায় মেতে উঠেছে অসাধু মাছ শিকারীরা। প্রতিনিয়ত তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত রিংজাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে চলেছে। এতে করে উপজেলার হাজার হাজার জেলে পরিবার অসহায় হয়ে পরছেন।

জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সহ¯্রাধিক জেলে পরিবার রয়েছে। তারা সাড়া বছর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরের অন্যান্য সময় তেমন মাছ না হলেও বর্ষা মৌসুমের মাছ বিক্রি করেই তাদের সাড়া বছরের কামাই-রোজগার করে নিতে হয়। এবারে বিলম্বিত বন্যার কারনে শুরু থেকেই এসব মৎস্যজীবীরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সম্প্রতি কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন খাল-বিলেও পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির সাথে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছের বিচরণও বৃদ্ধি পায়। এদিকে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পেলেও অসাধু মাছ শিকারীদের রিংজালে তা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে যেমন দেখা দেবে মাছের সংকট তেমনি বিপাকে পড়তে হবে জেলে পরিবারদের বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। আত্রাই উপজেলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ভূষণ চন্দ্র হাওলদার বলেন, নদী ও খাল-বিলে আশংকাজনক হারে রিংজালের ব্যবহার বেড়েছে। আর এ জালে সব ধরণের মাছ নিধন করা সম্ভব।

এভাবে মাছ নিধন হতে থাকলে মৎ্যস্যজীবিরা অসহায় হয়ে পরবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য সিনিয়র কর্মকর্তা পলাশচন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিভিন্ন স্থানে রিংজালের ব্যবহার হচ্ছে। আমরা এগুলোর প্রতিরোধে অভিযানও পরিচালনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x