ঢাকা, শনিবার ১১ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
নড়াইলে বাস চালক লিয়াকত হত্যায় চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ

নড়াইলের সীমাখালী ফেরীঘাট এলাকার বাসিন্দা বাস চালক লিয়াকত শিকদার হত্যার ঘটনায় আউড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যাকে প্রধান আসামীকরে মামলা দায়ের করা হয়ছে। নিহতের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাতদের আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সদর থানায় ২৯ আগস্ট মামলা নং ২৩ দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। ওসি শওকত কবির আরও জানান, নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশ রাস্তার পার্শ্বে ফেলে রাখা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পুলিশ সতর্ক রয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে নড়াইল-লোহাগড়া সড়কের পার্শ্বে সীমাখালী এলাকা থেকে তার ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লিয়াকত সীমাখালী গ্রামের সোহরাব সিকদারের ছেলে। রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে লিয়াকত সিকদার লোহাগড়ায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফিরে স্থানীয় নাকসি মাদ্রাসা বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে একই এলাকার ১০-১২জন চা খায়। পরে সেখান থেকে নিজ বাড়ি সীমাখালী আসার পথে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, নড়াইল ফেরী ঘাটের নেতৃত্ব ও আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যা ও লিয়াকত সিকদার গ্রপের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে তাদের ধারনা। নিহতের ছেলে পাভেল সিকদার (১৮) জানিয়েছেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যা ও তার ভাই শিমুলসহ আরও কয়েকজন তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

এ ব্যাপারে আউড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যার সাথে কথা বলার জন্য তার দুটি মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। অপর এশটি সূত্র জানায়, ঘটনার রাতে নাকসি মাদ্রাসা বাজারের যে চায়ের দোকানে বসে একই এলাকার ১০-১২জন চা খেয়েছিল তাদের পরিচয় হয়তো ওই চায়ের দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x