ঢাকা, সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
গলাচিপায় নদীর বেরিবাঁধ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন 
সঞ্জীব কুমার সাহা, গলাচিপা (পটুয়াখালী)সংবাদদাতা     
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের নদী ভাঙন এলাকা ও ভাঙনের কারনে হুমকির মুখে পড়া প্রয়াত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর পরিদর্শণ করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী।এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহম্মদ সাহিন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা,গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, বর্তমানে নদীর ভাঙনের জা অবস্থা তা সত্যিই খুব নাজুক। তবে অতি দ্রুত সত্বর স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কাজ করতে পারলে আলতাফ মাহমুদের কবর সহ অত্র এলাকার হাজার হাজার মানুষ নদীর ভয়াল গ্যাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নদীর তীর ভাঙন জা বেরিবাঁধ থেকে প্রায় ১০০থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যেহেতু অনেক বড় এরিয়া নিয়ে তাই আমাদের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কাজ করতে হবে। বিষয়টি আমি আমার  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব তারপর তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।                            উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহম্মদ সাহিন বলেন সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরের পাশের নদীর ভাঙনের কবলে পড়ায় আমরা পরপর মোট তিন বার পদক্ষেপ নিয়েছি কিন্তু পাশে  নদীতে চর জেগে উঠায় পানির চাপ বেশি থাকে যার কারণে আমরা বারবারই ব্যর্থ হয়েছি। এখন আমাদের নদীতে স্থায়ী টেকসই বাধেঁর দরকার তাহলে হয়ত এই গুনী সাংবাদিকের কবরসহ  কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারবে।আমাদের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বিষয়টি সংসদে উপস্থাপন করেছেন অতি দ্রুত সত্বর আমরা এর সমাধান পাব বলে আশা করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার বলেন এখানে যে ভাঙনটা আছে এটা অনেক আগে থেকেই চলছে স্থানীয়ভাবে আমরা কয়েকবারই উদ্যোগ নিয়েছি একে রক্ষা করার। বিশিষ্ট সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর সহ এখানে যে ভেরিবাধ দেয়া আছে তা জদি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে। আমাদের  স্থানীয় সংসদ সদস্য তিনিও নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধানের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে  চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি সরকার এটার গুরুত্ব দিবে এবং আমরা অচিরেই একটি সমাধানে পৌঁছাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x