মাইজপাড়ার ঐতিহ্যবাহী এসব পুকুর এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
স্থানীয় বয়োবৃদ্ব জানান, এই (চিচছিটি) পুকুরটি ৭/৮টি বছর ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এটি কয়জন ব্যাক্তি বিশেষের উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে ছয় কানি জায়গার বিশাল আকারের পুকুরটি বর্তমানে পাঁচকানি মত রয়েছে। বাকীটুকু ভরাট হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। একসময়ে পুকুরে প্রতিনিয়ত বৃহৎ এলাকার অসংখ্য লোকজন গোসল কিংবা নানা কাজ কর্মে পানি ব্যবহার করত। হরেক রকম মাছের চাষাবাদ করা হতো। বর্তমানে সেই পুকুরটি তার নিজস্ব গতি হারিয়ে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান,পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আয় করা সম্ভব হতো। নানা জটিলতার কারনে পুকুর টির বর্তমানে এহেন অবস্থা।
প্রাচীর জলাধার হাঁসেরদিঘী রক্ষায় মানববন্ধন ও করা হয়েছিল পূর্বে। ঈদগাঁও বাজার অবস্থিত টিএন্ডটি পুকুরে ময়লা আবর্জনা ফেলে দূর্ষিত করা হচ্ছে। এমনকি পুকুরে দুপাশ ময়লার স্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
সচেতন মহলের দাবী, এলাকাবাসী সচেতন হলে পুকুরের ঐতিহ্য ধরে রাখা সম্ভব হবে। পুকুরে ময়লা আর্বজনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেললে একদিকে পরিবেশ রক্ষা পাবে,অন্যদিকে অতি প্রয়োজনে পুকুরের পানি ব্যবহার করা যেতো। সংরক্ষন করে যদি পুকুরগুলোতে মাছ চাষাবাদ করা হয়, তাহলে একটা বড় অংশের আয় করা সম্ভব হতো।
স্থানীয় মেম্বার বজলুর রশিদ জানান, গ্রামের এ ঐতিহ্যবাহী চিচছিটি পুকুরটি বিলুপ্ত প্রায়। নেই সংস্কারের উদ্যোগ।