মাদারীপুরের কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁ নদীগর্ভে বিলিন হতে চলছে উপজেলার সিডিখান থেকে হাচেন আকনের হাট পর্যন্ত সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসেন কয়ারিয়া, সাহেবরামপুর, সিডিখান ইউনিয়নসহ প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ভাঙ্গনের ফলে এই সড়ক দিয়ে জনসাধারন চলাচল করলেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।তাছাড়া নদী ভাঙ্গনের ফলে ভিটামাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেকে। নতুন করে নদী গর্ভে বিলিন হতে চলেছে জনগুরুত্বপূর্ন পাকাসড়কসহ শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি। এতে করে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীর পাড়ের সাধারন জনগন।অনেকে ভাঙ্গনের ভয়ে বাড়িঘর অন্যস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সিডি খাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলত খাঁন গ্রাম। এ গ্রামের একেবারে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়াল খাঁ নদী। এ নদীর পার দিয়ে কয়ারিয়া, সাহেবরামপুর, সিডিখানসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনের উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য নির্মান করা হয়েছে এ সড়কটি।এমনিতে এ গ্রামটি প্রত্যান্তঞ্চল হওয়ায় অবহেলিতভাবে পড়ে আছে। বিগত দিনেও নদী গর্ভে চলে গেছে এ গ্রামের অনেক গাছপালা, বাড়িঘর ও কয়েকশ’ একর ফসলি জমি। নতুন করে কয়েক দিনের মধ্যে মজিবর শরিফ, দেলোয়ার শরিফ, আনোয়ার, রফিক ভান্ডারি, মজিদ বেপারীর মসজিদ, মাসুম বেপারী ও স্বপন শরিফসহ প্রায় অর্ধশত লোকজনের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ন এ পাকা সড়কের জাইল্লারহাটের অংশ, সত্তার মাওলানার মাজার, মনির খাঁন, কামাল খাঁন, নজরুল সিপাহিসহ শতাধিক বসতবাড়ি। এ নদীর তান্ডবে ভিটামাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই এলাকার সাধারন মানুষ। এতে করে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তারা। এদিকে স্থানীয় এমপি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক ড.আব্দুস সোবহান গোলাপের সার্বিক সহযোগীতায় কয়েকদিন যাবত জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ক্ষতিগ্রস্ত রফিক ভান্ডারী ও আলাল শরিফসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদীতে আমাদের বসতবাড়ি ও ফসলিজমি ভেঙ্গে গেছে। এখনও রাস্তাসহ অনেক বাড়িঘর ভাঙ্গতেছে। তাই আমরা এখানে বাঁধ নির্মানের দাবী যানাই।
উপজেলার সিডি খান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ চাঁন মিয়া সিকদার বলেন, আমাদের এমপি গোলাপ ভাইয়ের চেষ্টায় নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, ভাঙ্গন ঠেকাতে আড়িয়াল খা নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।