ভুয়া ওয়ারিশ দেওয়ার অভিযোগ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার সূত্রে জানা যায় উপজেলায় স্বজনগ্রামে কায়স্ত রায়কে সাহা রায় করে ভুয়া ওয়ারিশ তৈরি করে এই পরিবারের সম্পত্তির মালিক হওয়ার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল ।
উপজেলার ১নং ইউনিয়নের স্বজনগ্রাম রায়হাটির বিটিশ আমলের বিশিষ্ট জমিদার বিনয় কুমার রায় কায়স্ত রায় জমিদার বংশের পরিচয় দিয়ে সাহা রায়কে ১নং লাখাই ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আউয়ুব রাজা এমরান বিগত ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে বিনয় কুমার রায় গংদের ওয়ারিশান না হওয়া সত্ত্বেও জাল জালিয়াতি করেছে বলে বিগত ৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে লাখাই ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরিফ আহমেদ রুপন বরাবর ঐ গ্রামের বাসিন্দা আশীষ দাশ গুপ্ত দরখাস্ত দিলে তিনি তদন্ত করে এই বিনয় কুুমার রায় কায়স্ত রায় গংদের বংশের কোন ওয়ারিশ নেই বলে প্রত্যায়ন পত্র দেয়। এবং নিত্যানন্দ রায়ের মেয়ে গীতা রানী রায়ের ছেলেরা তাদের ওয়ারিশ নহে, নিত্যানন্দ রায় হলো সাহা রায় বিনয় কুমার রায় এর পরিবারের সাথে তাহাদের কোন বংশের বা আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ আহাম্মদ রুপনের অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পেয়ে আইয়ুব রাজা ইমরান গীতা রানী রায়ের ছেলে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের বাসিন্দা লক্ষন রায় ও তাপস রায়কে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দিয়ে বিগত ১১ এপিল ২০১৮ ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আদালতে ভুয়া ওয়ারিশান দিয়ে আশীষ দাশগুপ্ত গং দের খরিদা দখলের সম্পত্তির বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ব্যপারে আশীষ দাশ গুপ্ত বাদী হয়ে গত ১৮ আগষ্ট হবিগঞ্জ সিনিয়র জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭৫/২১ নং মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন লক্ষন রা্য, তাপস রায়, গীতা রানী রায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আউয়ুব রাজা এমরান, লাখাই ইউনিয়নের ৭ ৮ ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য নার্গীছ জাহান।
মামলার সূত্রে জানা যায় চিফ জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলটি সি,আই,ডিতে প্রেরন করেন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের নির্দেশনা দেয়।